সুফিয়া জমির ডেইজী
পৃথিবীতে স্বপ্ন দেখেছিলাম, স্বপ্নবাজ বুকের ধবল মিনারে
জীবন সংবিধানের নিঃশ্বার্থ অাবেগে নিথর বরফে একদশ দুই বারো বছর পার করেছিলাম
ছিলাম নিঃসন্তান,
ছিলাম নিঃসঙ্গ
তুমি অামি অামরা মিলে তার জন্য
শ্রম, ঘাম, কান্না, ক্লান্তিতে অবসর বুক পেতে নিয়েছিলাম
প্রতিটি বসন্তের রক্তে অন্তর্গত হত অামাদের ইচ্ছার কলরব
অামরা ছিলাম অপারগ
অামরাই ঘোষণা দিয়েছিলাম
বাকিটা জীবন কাটাবো ভাইবোন।
মজার কথা একদিন ফুল, কলি, অার পাপড়িরা ভাঁজ খোলে
স্বপ্নরা উড়াউড়ি করে, ছোটাছুটি করে
প্রেরণার প্রতীতিতে উচ্ছ্বসিত প্রতিভার
দীপশিখা জ্বলে উঠে
জানতে পারলাম অামাদের ঘরে অাসছে
বকুলপ্রচ্ছদের তারাগুটি খেলা
অামরা কূল ভেঙে কূলে দাঁড়ালাম
হায়রে! জীবনের অায়না মুখোমুখি তাও দাঁড়ালাম
অথচ, তুমি দূর-দূরান্তে চলে গেলে
অামি পোয়াতি! নয়নে অাবারো একাকি অঝোরো বৃষ্টিতে জোছনার গোলাপ হলাম
মানুষের কদরে জীবনের মূল্য বেড়ে গেল
সকলেই অাদরের মিহিচুলে অানন্দে জেগে উঠলো
অামার ডানায় অামার কবিতারা অামাকে প্রেম দিলো
অামি সাহসী হলাম
প্রশান্ত প্রশ্বাস মেখে মা-বাবাকে একরাতে চিৎকার করে ডাকলাম
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ছুটতে লাগলো সন্মুখে গাড়ির চাকা
মরিয়ম ফুলভেজা পানিতে মিটিলো গলার পিপাসা
বাবা তুমি কুড়িয়ে নিয়েছিলে ছোট্ট একটি রুম
রাত্রির লাইট জ্বলে দেহ উত্তাপে সেই ক্লিনিকে প্রসবিত হলো অামার সঞ্চিত সাধনার বাগান
বাগান জুড়ে অাজ পাখিফুলের জন্মদিন
২২শে এপ্রিল
জ্বলা, ঝড়, শিলা, তুফান, জ্বর জলাঞ্জলি গায়ে মেখে
পার করেছি ১৯টি বছর
মানুষের বাগান, মানুষের ফুল, মানুষের পাতা
অামার এই ফুলের নাম
মুহিত অাল মেরাজ
জাগতিক তাগিদে অামি সমাসীন
তুমিও জোছনা ধুয়া স্বপ্নে সমাসীন
অামাদের দুজনার সরল সাধের জনম
এই দোকানদারির পাতায়-পাতায়
তুমি অমূল্য চেতনায় দুর্বার সত্ত্বা
অাজ তোমার মুখে ফুলের নাম ধরে মধু ঢেলে ডাকো
অামিও ডাকছি অায় বাবা
অামাদের দেখে রাখিস্
তোর অাঙিনায় অামরা দোয়েল হাসি হাসতে চাই
বন বাদাড়ের রৌদ্রতটে ফুলের বিলাস জড়াতে চাই
তোর বিবেকী মুখে অামরা এঁকে দেবো
মায়ামনের সবুজ রঙ
বুক পাঁজরে অামার অক্ষরগুলোতে তুই সাজিয়ে রাখিস্ সুখ কথার খিলখিল সাদা সাদা স্মৃতি
জানিস্ তুই অামার তামাম দুনিয়ার মানুষের ফুল।
২২ এপ্রিল অাহমদপুর,গহরপুর, সিলেট