হায়দরাবাদের জয়ে ৩৪ রানে এক উইকেট নেন মুস্তাফিজ। স্লগ ওভারে তার চমৎকার বোলিংয়ে দল জয়ের পথে এগিয়ে যায়। দুই দলের প্রথম দেখায় নিজেদের মাঠে ২২৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে হেরেছিল হায়দরাবাদ।
শনিবার রাতে হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান করে হায়দরাবাদ। স্বাগতিকদের বিশাল সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান ডেভিড ওয়ার্নারের। ৫০ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তার অধিনায়কোচিত ইনিংসটি ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা সমৃদ্ধ।
চলতি আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই রান পেয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২৪ রানের দারুণ এক জুটি উপহার দিয়েছেন তিনি। ফেরার আগে ৩৮ বলে ৫০ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক।
শেষের দিকে মোইজেস হেনরিক্সের (১৪ বলে অপরাজিত ৩১) তাণ্ডবে দুইশ’ রানের কাছাকাছি যায় হায়দরাবাদের সংগ্রহ। জবাবে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানের বেশি করতে পারেনি বেঙ্গালুরু।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে বেঙ্গালুরু তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক কোহলির দিকে। তবে তার ইনিংস খুব একটা বড় হতে দেননি মুস্তাফিজ। নিজের দ্বিতীয় বলেই কোহলিকে ফিরিয়ে অতিথিদের বড় একটা ধাক্কা দেন তিনি।
রাহুল (২৮ বলে ৫১) ও দুইবার জীবন পাওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স (৩২ বলে ৪৭) বেঙ্গালুরুর আশা বাঁচিয়ে রাখেন। নিয়মিত বিরতিতে আঘাত হেনে রান-বলের টানাপোড়েন ধরেই রাখে হায়দরাবাদ।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজের কাছ থেকে ১১ রানের বেশি নিতে না পারায় ম্যাচ হেলে পড়ে হায়দরাবাদের দিকে। বাকি কাজটুকু সারতে কোনো ভুল করেননি ভুবনেশ্বর কুমার।