জিকা ভাইরাস ধারণার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক

বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগে যতটা ধারণা করা হয়েছিল মশাবাহিত জিকা ভাইরাস তার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা বলেছেন, জিকা স্নায়ুতন্ত্রের অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের প্রতি পাঁচজনের একজন এই ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বিবিসি

জিকা প্রতিকারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ব্রাজিলের কিছু এলাকায় জিকা ভাইরাস সংক্রমণের গতি কমেছে।তবে জিকার টিকা তৈরির প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং জিকা এখনো পুরো অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।অধিকাংশ চিকিৎসক এবং গবেষকরাই একমত যে জিকা ভাইরাসের সাথে শিশুদের অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া বা মাইক্রোসেফালির যোগসূত্র রয়েছে।

আগে ধারণা করা হতো জিকা আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের এক শতাংশের সন্তান মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত হয়। তবে ব্রাজিলের চিকিৎসকরা বিবিসিকে বলছেন, গর্ভবতী নারীদের ২০ শতাংশ পর্যন্ত পর্যন্ত মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর জন্ম দিতে পারে।

জিকা: লক্ষণগুলো কি?

জিকা আক্রান্ত হবার ফলে মৃত্যুর ঘটনা খুব বিরল এবং আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের একজনের মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা যায়।

লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • হালকা জ্বর
  • কনজাঙ্কটিভাইটিস (লাল চোখ)
  • মাথাব্যাথা
  • হাড়ের সংযোগে ব্যাথা
  • চামড়ায় লাল ফুসকুড়ি

গুলান-বার সিন্ড্রম নামে স্নায়ুতন্ত্রের একটি বিরল রোগের সাথেও জিকা ভাইরাসের সম্পর্ক পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গুলান-বার সিন্ড্রমের ফলে মানুষ সাময়িকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। জিকা ভাইরাসের কোন টিকা কিংবা ওষুধ নেই, রোগীদের প্রচুর পরিমাণে তরল পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুদের ওপর জিকা ভাইরাসের প্রভাবই এখনো পর্যন্ত জিকা ভাইরাস নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts