মো: মিনহাজুল আবেদীন ।। বাংলাদেশের একমাত্র পরিপূর্ণ আবসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০০ একর জায়গায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করে। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বেশ কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসের পূর্বপাশে ঢাক-আরিচা মহাসড়কেই ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে।
ক্যাম্পাসের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে সিএন্ডবি হতে পূর্ব পশ্চিম পাশের বিশমাইল গেইট পর্যন্ত প্রায়শ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসের আশে-পাশের গ্রামে যাওয়ার জন্য রাস্তাগুলো ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে হওয়ায় ক্যাম্পাসবাসীর পাশাপাশি দরিদ্র গার্মেন্টস ওয়ার্কার থেকে শুরু করে সর্বসাধারণ ছিনতাইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিনিয়িত। এই সকল ছিনতাই রোধে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি এখনও পর্যন্ত।
এ ছাড়া ১নং গেইটে (জয় বাংলা গেইট) মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। সবাই অত্যন্ত ঝুঁকির সাথে মহাসড়ক পার হচ্ছে। এই সকল দূর্ঘটনা এড়াতে জয়বাংলা গেইটে একটি ওভারব্রিজ অত্যন্ত প্রয়োজন। আর প্রয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্য সিএন্ডবি হতে বিশমাইল গেইট পর্যন্ত রাস্তায় সড়ক বাতির ব্যবস্থা করা। এই মূহুর্তে এ দুটি জনকল্যাণমূলক কাজের খুবই দরকার।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে ক্যাম্পাসে ছিনতাই এবং দূর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের পক্ষপাতি। সর্বসাধারণের উপকারের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই ছিনতাকারীর দখলে যেতে পারে না এবং এটা আমাদের কারো কাম্য নয়।
সিএন্ডবি এলাকায় ছিনতাই একটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া ডেইরি গেইট হতে প্রান্তিক গেইট পর্যন্ত এই এলাকাটিতে রিক্সা অথবা পায়ে হেটে কেউ চলাচল করলেই তাকে ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে হয়। উক্ত স্থানে যদি রাস্তায় ল্যম্পপোস্ট থাকে তাহলে হয়তো ছিনতাইয়ের ঘটনা কমতে পারে।
সর্বপরি ল্যাম্পপোস্ট এবং ওভারব্রিজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত সর্বসাধারনের উপকারের জন্য হলেও হওয়া উচিৎ। এটি আমাদের প্রত্যেকেরই প্রাণের দাবি।
লেখক : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক।