বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সারাদিন আর ৫টা বাচ্চার মতোই ছুটোছুটি করে খেলে। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুল যায়। কিন্তু সন্ধে নামলেই ছবিটা পাল্টে যায়। তখন দুই ভাই কথা বলতে, খেতে বা চোখ মেলতে— কিছুই পারে না। নড়ার ক্ষমতাটুকুও থাকে না শোয়েব আহমেদ (১৩) আর তার ভাই আবদুল রশিদ (৯)–এর।
এরা পাকিস্তানের কেট্টার বাসিন্দা। গ্রামের লোকজন ওদের ‘সৌর বালক’ নামে চেনে। ওদের বাবা মহম্মদ হাশিমেরও ধারণা, সূর্যের আলো থেকে শক্তি পায় দুই ছেলে। ঠিক গাছের মতো। কিন্তু চিকিৎসকরা এই যুক্তি মানতে চাননি। জানিয়েছেন, দিনের বেলা অন্ধকার ঘরে রেখে দিলে দুই ভাই দিব্যি খেলাধুলো করে। সূর্যের আলো শক্তি জোগালে অন্ধকার ঘরে নিস্তেজ হয়ে পড়ার কথা।
দুই ভাইয়ের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিছুই ধরা পড়েনি। বাবার আর চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। তাই এখন পাক সরকার তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের রক্তের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ধুলো, মাটির নমুনাও বিদেশে পাঠিয়েছে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স। চিকিৎসকদের আশা, যদি অন্তত রোগের কারণ জানা যায়! আর দুই ভাই! নিশ্চিত, রোগের কারণ জানা গেলেই ‘ডাক্তার চাচা’রা ওদের সারিয়ে দেবে। তার পরই শিক্ষক হতে পারবে। ওটাই যে স্বপ্ন ওদের।