রেস্তোরাঁ, পর্যটন এলাকাসহ পাবলিক প্লেসগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে আইন সংশোধন করে স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনরা।
২৫ জানুয়ারি এক ভার্চুয়ালি সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় অংশগ্রহণ করেন এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ।
এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং এটিজেএফবি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএস’র অনলাইন ইনচার্জ তানজীম আনোয়ার। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনি।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে যেমন চার দেয়ালে আবদ্ধ এক কক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা বা ধূমপানের স্থান রাখার বিধান রয়েছে। ফলে অধূমপায়ীরাও এসব স্থানে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। সুতরাং অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৭ বাতিল করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করতে হবে।
ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যিনি ধূমপান করেন না তার অধিকার আছে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য। অথচ পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যাই বেশি। যেহেতু ধূমপানের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেজন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমই পারে আমাদের এই বার্তা নিয়মিত ভাবে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে।
এটিজেএফবি’র সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণ বলেন, আকাশ পথে যদি ধূমপান নিষিদ্ধ থাকে তবে অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও ধূমপান নিষিদ্ধ করতে কঠোর আইন করতে হবে। এছাড়া রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডোরদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য পাবলিক প্লেসগুলোকে পুরোপুরি ধূমপান মুক্ত করতে আইন সংশোধন করতে হবে।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের সহযোগীতায় সভায় এটিজেএফবি’র যে সদস্য সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন- মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), শফিউল্লাহ সুমন (বিটিভি), মঞ্জুরুল ইসলাম (বলিক বার্তা), রিতা নাহার (বৈশাখী টিভি), বাতেন বিপ্লব (এশিয়ান টিভি), ইমরুল কাউসার ইমন (ভোরের ডাক), রাশিদুল হাসান (দ্য ডেইলি স্টার), আলতাব হোসেন (যায় যায় দিন), জুলহাস কবির (আরটিভি), তৌহিদুল ইসলাম (আমাদের সময়) ও আবদুল্লাহ তুহিন (যমুনা টিভি)।