নিজস্ব প্রতিবেদক: শেষ হলো মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ‘ডিআইটিএফ’ এর ২৬তম আসর। বরাবরের মতো মেলার এই আসরেও দৃষ্টিনন্দন ও শৈল্পিক ডিজাইনের প্যাভিলিয়ন তৈরি করেছিল দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ফলে এবারের বাণিজ্য মেলাতেও সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার জিতে নিলো দেশের এই সুপার ব্র্যান্ডটি।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডিআইটিএফ-২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টল ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনকে প্রথম পুরস্কার দেয় আয়োজক সংস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর হাত থেকে পুরস্কারের ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার ও ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক।
এসময় তাদের হাতে সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটনের মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মেলায় সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার চালুর পর থেকে বিগত টানা ১৪ বছর প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে ওয়ালটন। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন তৈরি করে প্রায় প্রতি বছরই পুরস্কৃত হয়ে আসছে ওয়ালটন।
এ বছর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ডিআইটিএফ। তাই আন্তর্জাতিক মেলার আবহে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ডিআইটিএফ-২২ এ বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখে ওয়ালটন।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের ডিএমডি মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক মেলা চীনের কুনমিং ফেয়ারের আদলে আয়োজন করা হয় ডিআইটিএফ-২২। তাই আন্তর্জাতিক ওই মেলার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে এবং করোনা সংক্রমন বিস্তার প্রতিরোধের বিষয়টি বিবেচনা করে ওয়ালটন স্টলে বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধুমাত্র ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটনের ইনোভেটিভ ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, আইটি ডিভাইস ও এক্সেসরিজসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
মেলায় আগত দেশি-বিদেশী দর্শণার্থীদের কাছে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট ফ্রিজ, গুগল সার্টিফাইড স্মার্ট টেলিভিশন, বিশ্বের প্রথম ভয়েস কন্ট্রোলসমৃদ্ধ ইনভার্টার প্রযুক্তির স্প্লিট টাইপ স্মার্ট এসি, ভিআরএফ এসি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের স্মার্ট টেবিল, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফ্যান, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। ফলে মেলায় বিদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলারের স্পট অর্ডার পেয়েছে ওয়ালটন। এছাড়া জানুয়ারি মাসে মোট রপ্তানি আদেশ মিলেছে ২৩ লাখ ডলারেরও বেশি ।