খন্দকার জাফর আহমদ: অবশেষে ঢাকা জেলা প্রশাসন কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল হতে বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পানি দ্রুত নিস্কাশনের লক্ষ্যে এই প্রকল্প (এডি-৮) হাতে নেয়া হয়।
এজন্য (এডি-৮, বোয়ালিয় ডুমনি খালসহ) কুড়িল সংযোগস্থল ও এ্যাট গ্রেড ইন্টারসেকশন সংযোগ প্রকল্প সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখলের নোটিশ জারি করা হয় গত ০২.১২.২১ইং তারিখে। যদিও এই নোটিশ জারির প্রায় তিনবছর আগেই উল্লেখিত এলাকায় ফসলি জমি ও ভিটা সম্পত্তিতে তড়িঘড়ি করে খাল খনন কাজ শুরু হয়। ঢাকা জেলার উত্তরা দক্ষিণখান মৌজার বিশাল এলাকা এই অধিগ্রহন ও হুকুম দখলের আওতায় পড়েছে। রাজধানী ঢাকার সন্নিহিত কয়েকটি উপজেলায় ভূসম্পত্তি মিলিয়ে পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় এই প্রকল্প গড়ে তুলতে গিয়ে খিলক্ষেত থেকে কুড়িল পর্যন্ত সড়কে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।তার জন্য নির্মান করা এই ১০০ফুট চওড়া খাল ও সড়ক।
আর এই উন্নয়ন কাজের আওতায় পড়ে প্রায় ৪০০ পরিবার উচ্ছেদ বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। একজন ক্ষতিগ্রস্থ বরাবর পত্রে জানানো (তাং-০২.০১২.২১) হয়েছে যে, নোটিশ জারির ১৫দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসকের বরাবর প্রস্তাবিত সম্পত্তির অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো যাবে। এই নোটিশে ঢাকা জেলা প্রশাসক গত ২ডিসেম্বর সাক্ষর করেছেন। এছাড়া ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো সহ ৭জন কর্মকর্তা ও সাক্ষর করেছেন।
এদিকে ক্ষতিপূরনের ন্যায্যমূল্য দীর্ঘ তিন বছরেও বুঝে না পাওয়ায় ভূক্তভোগীরা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগের চেষ্টা করে চলেছেন। প্রাপ্য ন্যায্যমূল্য তারা কবে বুঝে পাবেন তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ার আফান উল্লাহ বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ জমি মালিকদের অধিগ্রহণের টাকা পেতে সর্বোচ্চ ৬মাস লাগবে।ক্ষতিগ্রস্থ জমি মালিকদের সংখ্যা আমার জানা নেই। রাজউক বলতে পারবে।
তিনি জানান, সরকারি অধিগ্রহন যে নীতিমালা আছে সেই অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা দেয়া হবে।