গত ১৯ জানুয়ারি ও ৬ ফেব্রুয়ারি ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানে জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম এমপি যে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য রেখেছেন তা আমাদেরকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সভাপতি কৃষিবিদ ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) পিইঞ্জ. কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম (প্রিন্স) ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, একজন রাজনীতিবিদ যখন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোন কোন শ্রেণি পেশার সদস্যদেরকে আক্রমণ করে আপত্তিকর ও কল্পনা প্রসূত মন্তব্য করেন তখন এদেশের সচেতন পেশাজীবি হিসেবে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। আমাদের মনে হচ্ছে মির্জা আজম সাহেব ক্ষমতার মোহে বেসামাল ও বেপারোয়া হয়ে এসব বক্তব্য রেখে একান্তভাবে নিজের ভুলত্রুটি অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন। তাকে স্মরণ করে দিতে চাই সীমা লংঘনকারীকে মহান আল্লাহ পছন্দ করেন না এবং আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধুর শিখিয়ে দেয়া মন্ত্রে মির্জা আজম যেন আত্ম সমালোচনা, আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধির পথ বেছে নিয়ে নিজ এলাকার উন্নয়নে দৃষ্টি দেন। অন্য পেশার সমুদয় পেশাজীবিদের চোর কিংবা বানরের সাথে তুলনা করে তার নিজের শিক্ষা কিংবা রুচিবোধের যে পরিচয় তিনি জাতির সামনে তুলে ধরেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এতে করে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তিনি কি সরকার কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পুরোধা রাজনৈতিক দলকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ লালনকারী পেশাজীবিদের মুখোমুখি অবস্থানে এনে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার ঘৃণ্য অপপ্রয়াসে লিপ্ত আছেন কিনা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, এদেশের ভাষা আন্দোলন-মুক্তিযুদ্ধ, কৃষি ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থা কিংবা আধুনিক উন্নত দেশ গঠন ও রোগমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। র্মিজা আজম এমপি এইরকম পেশাজীবিদের শুধুমাত্র অসম্মানই করেননি, তিনি তাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যদেরকেও অসম্মান করেছেন। কারো ঘরে স্টিকার লাগানোর আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র সত্যি হলে তার নিজ গৃহে প্রথমে একটি স্টিকার লাগিয়ে অন্য ঘর খোঁজার চেষ্টা করাই উত্তম হবে বলে আমরা মনে করি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা শক্তি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত পেশাজীবি সংগঠনগুলোকে চোরের সমিতি বলা তার রাজনৈতিক অজ্ঞতার শামিল।
আমরা তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি।