স্বাধীনতা অর্জনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই প্রথম জাতীয়ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপন উপলক্ষে গঠিত সমন্বয় উপকমিটির দ্বিতীয় সভায় মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপর অর্পণ করা হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি একই দিনে একই সময়ে দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকার ভিত্তিতে ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ মোট ৬৫৪ জন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
সম্মাননাপ্রাপ্ত সকল মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট বা সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ী ও স্যুভেনিয়র প্রদান করা হবে।
জেলা পর্যায়ে যথাযথভাবে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি উদযাপনের লক্ষ্যে সকল জেলা প্রশাসকগণ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত থাকবেন। জেলা প্রশাসকগণ তার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট বা সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ী ও স্যুভেনিয়র প্রদান করবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মুজিব বর্ষের থিম সং এবং মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় ও সংগ্রামী জীবনের উপর নির্মিত গীতিআলেখ্য পরিবেশিত হবে।
এ অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হবে।