পবিত্র শবে মিরাজ আজ

আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখ পবিত্র শবে মিরাজ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঊর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণের ঐতিহাসিক ও অলৌকিক ঘটনার স্মারক দিবস।

এ রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা শরিফ থেকে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে সপ্তম আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাক্ষাৎ লাভ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসেন। এ কারণেই হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র।

এ রাতে মহানবী (সা.) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে বোরাক নামের বাহনে যাত্রা করে মুসলমানদের প্রথম কাবা শরীফ বর্তমান ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে যান। সেখানে অন্যান্য নবী-রাসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। এরপর ঊর্ধ্বলোকে সফর শুরু করেন। এ সময় তিনি নভোমণ্ডল, বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন। সপ্ত আসমান পেরিয়ে তিনি আরশে আজিমে মহান আল্লাহ পাকের সরাসরি দিদার লাভ করেন। সরাসরি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়। এই  সফরেই উম্মতে মোহাম্মদির জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়।

মিরাজ সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরআন শরিফে বলেন, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্ত্বা তিনি, যিনি তার স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করালেন, যার চতুর্দিকে আমার রহমত ঘিরে রেখেছেন, যেন আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। তিনিই সবকিছু শোনেন ও দেখেন। (বনি ইসরাঈল-১)।

মিরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। পবিত্র এ রাতটি বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। শবে মিরাজের এ মহিমান্বিত রাতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ, মিলাদ-মাহফিল, দোয়া-মোনাজাতসহ ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানি ও তাঁর প্রিয় হাবিব (সা.) এর সন্তুষ্টি অর্জন কামনা করা হয়ে থাকে।

এ উপলক্ষে আজ (সোমবার) বাদ জোহর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মিরাজ’-এর গুরুত্ব ও তাত্পর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts