রায় পড়ে শোনানো হয়েছে, কারাগারে আশপাশেও কঠোর নিরাপত্তা

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এখন নিজামীর দণ্ড কার্যকর করতে কেবল একটি আইনী প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। তা হলো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া আর না চাওয়ার বিষয়। প্রাণভিক্ষা না চাইলে সরকারের নির্বাহী আদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পর যে কোনো সময় তার দণ্ড কার্যকর করা যাবে। আর প্রাণভিক্ষা চাইলে তা রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য পাঠানো হবে।
রাষ্ট্রপতির কাছে অনুকম্পা চাওয়ার পর তা নাকচ হলে সরকার দিনক্ষণ ঠিক করে কারা কর্তৃপক্ষকে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশ দেবে। তার আগে স্বজনরা কারাগারে গিয়ে আসামির সঙ্গে ‘শেষ দেখার’ সুযোগ পাবেন।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্টার কেশব রায়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল কঠোর নিরাপত্তায় রিভিউ খারিজের অনুলিপি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান।  কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে সেটি হস্তান্তর করে তারা সোয়া ৭টার দিকে বেরিয়ে যান।

নাজিমুদ্দিন রোডে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা। পুলিশ-র‌্যাব ও কারারক্ষীরা আশপাশ সতর্ক প্রহরায় রয়েছেন। আশপাশ এলাকায় ফুটপাতের দোকান তুলে দেওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts