বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা
বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কোন সংস্থার তা এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করা হয়নি বলে দেশে কার্যকরভাবে শব্দ দূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না।
তারা বলেন, দেশে শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণার অভাব, এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের অপ্রতুলতা এবং সচেতনতার অভাবও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণকে জটিল করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) আয়োজিত “নিরাপদ শ্রবণ পরিবেশ তৈরিতে আমাদের করণীয়” শীর্ষক ওয়েবিনারে তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় নাক, কান ও গলা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা .মোহাম্মদ আবু হানিফ প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়েব সভায় যোগ দেন।
তিনি বলেন, শব্দ দূষণ এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ শ্রবণ পরিবেশ তৈরির জন্য শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধি বলবৎ করতে পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে প্রচারণা চালাতে হবে।
এডিডি ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম ওয়েবিনার সঞ্চালন করেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সিবিএম গ্লোবালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ মুশফিকুল ওয়ারা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কনসালটেন্ট ডাঃ সাধনা ভাগবত।
বৈঠকে শব্দ দূষণ রোধে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিগুলি যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলির এখতিয়ার নির্ধারণ করা এবং সারা দেশে শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র এবং ইশারা ভাষা প্রশিক্ষণ সহজলভ্য করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি লোক মানুষ-সৃষ্ট শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস, মাথাব্যথা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হয়।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষার জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং সরকারী সংস্থাগুলির সাথে কাজ করা সিডিডি ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব শ্রবণ দিবস পালন করছে।
প্রতিবছর ৩ মার্চ বিশ্ব শ্রবণ দিবস পালিত হয়। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “শ্রবণ জীবন ভরে, শুনুন যত্ন করে।”