বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর যৌথ উদ্যোগে এবং দেশের সরকারি-বেসরকারি ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবেশ সপক্ষ ৩৫টি সংগঠনসমূহের সহযোগিতায় ঢাকার (সিদ্ধেশ্বরী) স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে গত ১১-১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে “জ্বালানী, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন” বিষয়ক বার্ষিক সম্মেলন, ২০২২। এ সম্মেলনের গৃহীত “চুড়ান্ত প্রস্তাবনা প্রকাশ” উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টায়; ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বাপা’র সহ-সভাপতি ও বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চুড়ান্ত প্রস্তাবনা পাঠ করেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব, শরীফ জামিল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাপা’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক শারমীন মুরশিদ, নির্বাহী সদস্য এমএস সিদ্দিকী, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটির বিশেষজ্ঞ অধিবেশন উপ-কমিটির সহ-আহ্বায়ক ও বেনের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক আহমেদ বদরুজ্জামান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও রেজিষ্ট্রেশন উপ-কমিটির সদস্য সচিব, আলমগীর কবির, আইটি উপ-কমিটির সদস্য সচিব, আরাফাত জোবায়ের এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন, বাপা সহ-সভাপতি, অধ্যাপক নূরমোহাম্মদ তালুকদার, বাপা নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাপা’র কোষাধ্যক্ষ মহিদুল হক খান, বাপা শাখা প্রতিনিধি, নুর আলম শেখ, রফিকুল আলম, এস এম মিজানুর লাইফ, অ্যান্ড নেচার সেফগার্ড প্ল্যাটফর্র্মের প্রতিষ্ঠাতা শমসের আলী, সাধারণ অধিবেশন সাব-কমিটির সহ-আহ্বায়ক ও বেনের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মোঃ খালেকুজ্জামান ও মোহাম্মদ ইরফান।
সভাপতি ড. নজরুল ইসলাম বলেন, এই প্রস্তাব দুই অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে জ্বালানী বিষয়ক পর্যবেক্ষণ এবং সুপারিশ দ্বিতীয় অংশে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের অন্যান্য ইস্যু সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ, সুপারিশ, এবং দাবী।
অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, বাপা-বেন এর প্রতিটি সম্মেলন অত্যন্ত জ্ঞান ও গবেষণা নির্ভর। আর এতে যেসমস্ত সুপারিশ আসে সেগুলো যুগোপযোগী ও দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। তিনি এ সমস্ত সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক আহমেদ বদরুজ্জামান বলেন, বাপা-বেন সম্মেলনে ৬০টির মতো প্রবন্ধ এসেছে যা ছিল অত্যন্ত জ্ঞান সমৃদ্ধ। তার মধ্যে ১৮টি বিদেশী ও প্রবাসী লেখকদের লেখা।
শারমীন মুরশিদ বলেন, বিদেশী পরামর্শকদের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকল্প করলে দেশের স্বার্থ উদ্ধার হয় না। তিনি দেশের দুর্নীতি দূর করে দেশের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প দেশের বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ দ্বারা করার দাবী জানান।
এমএস সিদ্দিকী দেশের জ্বালানী নীতির জন্য ২০১৫ সালের পুরোনো মাষ্টারপ্ল্যান বন্ধ করে দেশীয় বিশেষজ্ঞদেরকে কাজে লাগিয়ে নতুন মাষ্টার প্ল্যান করার আহ্বান জানান।
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নীতি একটি জাতীয় বিষয়। সুতরাং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নীতি করার জন্য নতুন একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানী নীতি প্রয়োজন।