মাদকনির্ভরশীল এবং মানসিক সমস্যাগ্রস্থ রোগীদের চিকিৎসায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এর পাশাপাশি কাউন্সেলরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। চিকিৎসা কেন্দ্রে সঠিকভাবে ও নিয়মিত কাউন্সেলিং একজন রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি করে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের ট্রেনিং রুমে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের আয়োজনে উক্ত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পারিবারিক সভা আয়োজন করা হয়। এবারের সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো মাদকনির্ভরশীল ও মানসিক সমস্যার রোগীদের চিকিৎসায় ‘‘কাউন্সেলিং এর গুরুত¦ ’’।
সভার শুরুতে কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার উম্মে জান্নাত ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ৪টি মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সার্ভিস নিয়ে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন। এরপরে সভার মূল আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জহির উদ্দিন। উপস্থাপনায় সাক্ষ্যভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপ নিয়ে আলোচনা করেন। এবং এই পদ্ধতিতে রোগীর চিকিৎসায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি কাউন্সেলিং এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন।
আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাউন্সেলিং সার্ভিসের বিষয় নিয়ে সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আলোচকগন। মুক্ত আলোচনা অংশটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রের কাউন্সেলর জান্নাতুল ফেরদৌস পরে।
সভায় ১৩ জন রোগীর পরিবার থেকে ১৯ জন সদস্য অংশগ্রহন করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাইকোস্যোসাল কাউন্সেলর মমতাজ খাতুন। সবশেষে সভায় সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ফারজানা ফেরদৌস।
উল্লেখ্য, আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনবার্সন কেন্দ্র গত ৮ বছর যাবৎ নারী মাদকনির্ভরশীলদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ২ শত নারী বর্তমানে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন।