সিদ্ধার্থ সিংহের তিনটি ঝলক-গল্প

শেষ চারটে নম্বর
বউ রান্না করছিল। দরজার কাছে এসে উঁকি মেরে স্বামী বলল, এই, তোমার বোনের শেষ চারটে নম্বর বাইশ সাতেরো, না? বারবার আমাকে ফোন করছে।
খুনতি নাড়াতে নাড়াতে বউ বলল, না না, ওর নাম্বার তো সাতাশি সাতাত্তর আটাত্তর ঊনত্রিশ চুরাশি…
বর বলল, কী বললে?
বউ আবার বলল, সাতাশি সাতাত্তর আটাত্তর ঊনত্রিশ চুরাশি…
স্বামী বলল, ঠিক আছে, ঠিক আছে, পেয়ে গেছি।
বউ চিৎকার করে উঠল, অ্যাই, তুমি কিন্তু একদম ওকে ফোন করবে না।
— না না, একদম করব না। বলতে বলতে সোজা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে গেল।
—————————
বউমা
বউমা ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদতে কাঁদতে শাশুড়ি আর ননদের সামনে এসে বলল, তোমরাই বলো, আমি কি শাকচুন্নির মতো দেখতে?
ননদ বলল, তুমি শাকচুন্নির মতো দেখতে হবে কেন?
তবু ফ্যাচ ফ্যাচ করতে করতে বউমা বলল, আমি কি ধুমসি মোষের মতো দেখতে?
শাশুড়ি বলল, না না, মোটেও না। কেন? কে বলেছে?
তখন চোখ মুছতে মুছতে বউমা বলল, তা হলে পাশের বাড়ির মাসিমা কেন বলল, তুমি একেবারে তোমার ননদ আর শাশুড়ির মতো দেখতে?
—————————
তেইশ
কাজলের বউ রাস্তার মধ্যে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ায় পথচারীদের ভিড় জমে গেল। তার চোখে-মুখে জলের ছিটে দেওয়া হল। চামড়ার চটি নাকে ধরা হল। মাউথ টু মাউথ অক্সিজেন দেওয়া হল। তাতেও যখন কোনও কাজ হল না, রাস্তার পাশেই ছিল একটা ওষুধের দোকান। সেখানে একজন ডাক্তার ছিল। তাঁকে ডাকা হল। তিনি এসে দেখলেন। তার পর কাজলকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার স্ত্রীর নাম কি?
কাজল নাম বললেন। তার পর জিজ্ঞেস করলেন, বয়স কত?
কাজল বললেন, থার্টি ফাইভ।
যেই না থার্টি ফাইভ বলা, অমনি কাজলের বউ তড়াক করে লাফ মেরে উঠে বললেন, একদম বাজে কথা বলবে না। আমার বয়স পঁয়ত্রিশ? আমার বয়স এখন তেইশ।
#
Print Friendly

Related Posts