জন্মজয়ন্তীতে বর্ণিল সাজে কবিগুরুর কাছারি বাড়ি

অদিত্য রাসেল: আজ পঁচিশে বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচীর আলোকে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ৩ দিন ব্যাপী রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রং ও তুলির আঁচড়ে নানা আল্পনায় রঙিন হয়ে উঠেছে কবিগুরুে কাছারি বাড়ির আঙিনা। লাল-সবুজ ও হলুদের বিচিত্র আলোকসজ্জায় চারপাশ এখন বর্ণিল।

কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শাহজাদপুর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয়েছে রবীন্দ্র মেলা। রবীন্দ্রনাথের ভক্ত অনুরাগীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কাছারিবাড়ি।

রবীন্দ্র জীবনে ও সাহিত্য ভুবনে শাহজাদপুর এক অবিস্মরণীয় নাম। শাহজাদপুরের উন্মুক্ত উদার দ্বারে এসে
নিখিল বিশ্বের সামনে কবি প্রাণের গভীর বন্ধন সূচিত হয়। তাঁর চিত্তে ও কর্মবোধের সর্বোচ্চ সমন্বয় ঘটেছিলো শাহজাদপুরে এসেই যা তিনি স্বীকার করেছেন লেখনীর মাধ্যমেই। শাহজাদপুরের কাছারি বাড়ি রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি
বিজড়িত একটি ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, তিন তৌজির অন্তর্গত ডিহি শাহজাদপুরের জমিদারী একদা নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারীর অংশ ছিল। ১৮৪০ সালে শাহজাদপুরের জমিদারী নিলামে উঠলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর মাত্র তের টাকা দশ আনায় এই জমিদারী কিনে নেন। জমিদারীর সাথে সাথে ওই কাছারি বাড়িও ঠাকুর পরিবারের হস্তগত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। আগে এই কাছারি বাড়ির মালিক ছিল নীলকর সাহেবরা। ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারী দেখা শোনার কাজে শাহজাদপুরে যাতায়াত ও সাময়িকভাবে বসবাস করতেন। তার লেখা বহু রচনাবলি ও বহু নিদর্শন আজও মানুষের
মাঝে রয়ে গেছে এবং সেইগুলো আজীবন অমর হয়ে থাকবে।

কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীতে কাছারি বাড়িটি শুধু এলাকার মানুষের নয় বরং দেশের ও বিদেশের বহু পর্যটককে বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করে এবং এই কাছারি বাড়িটির জন্য এলাকার মানুষ হিসেবে স্থানীয়রা গর্বিত বলে জানান।

Print Friendly

Related Posts