২০২২ সালের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল ঈদযাত্রা ও ৪ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ঈদফেরার সড়কপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ১৭৮ টি, আহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭ জন এবং নিহত হয়েছে ৬৮১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায়।
প্রতিবেদন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর।
বাংলাদেশের ২৮ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে এই ১২ দিনে সড়কপথে প্রায় ২৬ লক্ষ মোটর সাইকেল চালানোর সময় নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৬১৮ টি দুর্ঘটনায় আহত ৯৬৮ এবং নিহত হয়েছেন ১৯০ জন; অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪০৭ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩২১ এবং নিহত হয়েছে ১৬৮ জন; খানা খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ৪৬৭ টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩১০ এবং নিহত হয়েছে ১৫৪ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৬ টি আহত হয়েছে ৪৭৮ জন এবং ১৬৯ জন নিহত হয়েছে।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, আইয়ুব রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচ্য তা হলো- ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃতিম টিকেট সংকট তৈরি করে ২ থেকে ৩ গুণ ভাড়া বাড়ানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে একটি কুচক্রি মহল। তারা ঈদযাত্রা ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করলেও পুলিশ-প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে; যার উত্তরণে সেভ দ্য রোড প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, সড়কপথ দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন মৃত্যু বরণ করেছেন ৫৬ এবং আহত হয়েছেন প্রতিদিন ২৬৪ জন।