অনুমতি না নিয়েই স্বর্ণের ব্যবসা করার বিষয়ে পুঁজিবাজার ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠান রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ।
সাকিবের প্রতিষ্ঠান দুটির স্বর্ণের ব্যবসার বিষয়ে প্রদান করা ব্যাখ্যা যাচাই বাছাই শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএসইসি। তবে প্রতিষ্ঠান দুটির নাম থেকে ‘কমোডিটি এক্সচেঞ্জ’ শব্দটি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
বুধবার (২৫ মে) রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেক রহমানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
একইসঙ্গে এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে অবহিত করা হয়েছে।
বিএসইসি চিঠিতে উল্লেখ করেছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সম্পর্কিত ব্যবসা করার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠির জবাবে আপনাদের প্রদান করা ব্যাখ্যা সন্তোষজনক বলে মনে করছে বিএসইসি।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে একটি অনুমোদিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কমোডিটির ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ (স্পট ব্যতীত) করতে হবে। তাই এ ধরনের বিভ্রান্তি এড়াতে আপনাদের কোম্পানিগুলোর শিরোনাম থেকে ‘কমোডিটি এক্সচেঞ্জ’ শব্দটি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।
গত ২২ মে বিএসইসিতে পাঠানো চিঠিতে প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেক রহমান উল্লেখ করেন, উপযুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে আমরা আমাদের জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমরা বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস)-এর বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করে বর্তমান বাজার দরে ব্যবসা পরিচালনা করছি।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা আপনার জিজ্ঞাসাপত্রের বিষয়টির প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে; আমরা সোনার পণ্যগুলো বর্তমান বাজারমূল্যে শুধু খুচরা পর্যায়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জড়োয়া হাউস, পূরবী জুয়েলার্স, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডসহ সকল জুয়েলার্স যে ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে আমরাও তদ্রূপ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমাদের রিটেইল এবং আমদানি দুই ধরনের ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে। আমাদের ব্যবসার কর্মপরিধির সাথে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইন অধীনস্থ অথবা আইন পরিপন্থী পরিস্থিতির উদ্রেক হয়নি। আমরা স্বর্ণের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করে অন্য কারো কাছে কোনো ব্যবসা অফার করছি না। জুয়েলারি ব্যবসার সকল নিয়মনীতি প্রতিপালন করেই আমরা ব্যবসা পরিচালনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেক রহমান বলেন, ‘আমরা আইন মেনে কাজ করছি। আমরা খুশি যে, আসল সত্যটি বেরিয়ে এসেছে। আমরা আইন মেনে ভালোভাবে ব্যবসা করতে চাই। এজন্য সকলে সহযোগিতা চাই।’