যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শ্রীলংকায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। পরবর্তীতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে তাঁর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে শাহাদৎ বরণকারী তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
হাই কমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলামের বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্যে শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতা-পূর্ব ও স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জাতি গঠনে তাঁর ভূমিকা বিশেষ করে সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানসমূহ এবং এসব অবদানের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি শেখ কামালের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে-সম্মুখ সমরের পাশাপাশি রণাঙ্গনের বাইরে যুদ্ধের কৌশল তৈরিতে তাঁর অবদান এবং বাংলাদেশের তৎকালীন তরুণ সমাজকে নেতৃত্ব প্রদানে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকার উপর আলোকপাত করেন। তারুণ্যের প্রতীক হিসাবে শেখ কামালের দেশ গঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অংশগ্রহণের জন্য হাইকমিশনার উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।