২০১৭-২০২২ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত গণপরিবহন-অন্যান্য বাহন এবং বাসস্ট্যান্ড-ট্রেন স্টেশনে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪৬০১ টি, ধর্ষণ ৩৫৭ এবং খুনের শিকার হয়েছেন ২৭ জন। প্রতিবেদনে ‘সেভ দ্য রোড-এর ।
বাংলাদেশের ৩১ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেন, বাসস্ট্যান্ডগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ না হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির কুরুচিপূর্ণ মানুষ নারীদের পোশাক-আশাক-চাল-চলন নিয়ে যেমন বিভিন্নভাবে কটুক্তি করে, তেমনি নির্যাতন-নিপীড়ন করতেও পিছপা হয় না। পিছিয়ে নেই ট্রেন, লঞ্চঘাট বা বিমান বন্দরও। বোরকা পরিহীত নারীরাই সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন বলে সেভ দ্য রোড-এর এক জরিপে দেখা যায়। প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে নিপীড়নের শিকার হন ৯৯ জন। তাদের মধ্যে বোরকা বা হিযাব পরিহিত নারীর সংখ্যা ৬৭ এবং অন্যান্য পোশাক পরিহিত নারীর সংখ্যা ৩২।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, আইয়ুব রানার তত্বাবধায়নে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে- গত ৫ বছর ৭ মাসে গণপরিবহণ ও বাস স্ট্যান্ডে নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে ৩৩১৪ টি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২১৭ এবং হত্যাকান্ডর শিকার হয়েছে ১৬ জন; ট্রেন স্টেশন, ট্রেন লঞ্চঘাট ও লঞ্চে ২২৯ জন নারী নির্যাতিত হয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৯ টি এবং হত্যার শিকার হয়েছেন ৭ জন এবং প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস বা বাইকে ঘটেছে ৮৪১ টি নির্যাতনের ঘটনা, ধর্ষিত হয়েছেন ৩৩৭ জন এবং হত্যার শিকার হয়েছেন ৪ জন।
গণপরিবহনে-বাসস্ট্যান্ড-ট্রেন স্টেশনসহ বিভিন্ন পথে নির্যাতন-নিপীড়ন-ধর্ষণ-খুন বন্ধের লক্ষ্যে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ৩ টি সুপারিশ করা হয়েছে- ১. রাষ্ট্রিয়ভাবে নারীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করতে ‘নারী প্রতি সম্মান’ শীর্ষক সচেতনতা তৈরি করা; সেখানে ধর্মীয় অনুশাসন, নীতি-আদর্শ-সভ্যতার আলোকে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে হবে এবং তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার এবং প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণির পাঠ্যবইতে সংযুক্ত করতে হবে। ২. মালিক-চালক- হেলপার-সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদেরকে অবশ্যই যাত্রীদের প্রতি আচরণ প্রশিক্ষণ এবং অসদাচরণ করলে শাস্তির ঘোষণা দিতে হবে। ৩. প্রতি ৫ কিলোমিটার অন্তর পুলিশ বুথ স্থাপন, সকল সড়ক-মহাসড়ক- সেতুকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা।