‘রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ নতুন সাত দলীয় জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চকে’ গুরুত্বহীন উল্লেখ করে বলেছেন, জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন ও রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষরা নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন জোট করেছে। এ জোটের রাজনীতি কিংবা ভোটের মাঠে কোনো গুরুত্ব নেই।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখলাম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ নামে সাতদলীয় একটি জোট গতকাল গঠিত হয়েছে।

যারা এই জোট গঠন করেছে, তারা সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ এবং রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। এরা প্রত্যেকেই নানা দল করে, নানা ঘাটের পানি খেয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছেন এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

এটি একটি গুরুত্বহীন জোট এবং ভোটের রাজনীতি বলুন বা দেশের সার্বিক রাজনীতি কোনো ক্ষেত্রেই তাদের কোনো গুরুত্ব নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা নিজেরা যেহেতু গুরুত্বহীন, তারা মিলে একটি জোট গঠন করে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মাত্র, অন্য কিছু নয়।’

এর আগে সকালে মহাখালীতে পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জের ধরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সাথে দেখা করে তাদেরকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

এ সময় তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে যখন পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হয়, তখন বিএনপি-জামাত সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে দেয়, পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত লাগবে, নরবলি দিতে হবে। তাসলিমা বেগম রেনু সেসময় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন। বিএনপি-জামাত সৃষ্ট গুজবের প্রেক্ষিতে তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুধু তাসলিমা বেগমই নয়, বিএনপি-জামাতের গুজবের কারণে আরো অনেককে অসহায়ভাবে মরতে হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় রেনু বেগম হত্যার বিচারের বিষয়েও দলীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহাখালী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গণতন্ত্র মঞ্চের সাতটি দল হলো- আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলন, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ, রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও  হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

 

Print Friendly

Related Posts