‘সব বয়সীদের জন্য এক বিশ্ব’

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ ও যুবক। তারাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর। এই যুব সমাজ বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এমনকী বর্তমান মহামারীর মতো বিভিন্ন ঘটনায় পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে কাজ করেছে।

আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবস। এ বছর দিবসটির থিম হলো ‘বয়স-নির্বিশেষে সাম্য: সব বয়সীদের জন্য এক বিশ্ব’।

২০০০ সালের ১২ আগস্ট দিবসটি প্রথম উদযাপিত হয়েছিলো। যুব দিবসের মূল উদ্দেশ্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঘটনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে যুবকদের অংশগ্রহণ এবং মতামত আলোচনা করা। বিশ্বব্যাপী যুব সমাজের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রোজগারের অধিকার নিয়ো সোচ্চার হওয়ার দিন হিসেবেও দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

জাতিসংঘের মতে, এই বিশেষ দিনটি আসলে যুবসমাজের নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার প্রতি সচেনতা বাড়ানোর এক প্রয়াস।

প্রতি বছরের মত এই বছরও বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।

এদেশের মুক্তি সংগ্রাম থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এ দেশের যুবসমাজ। শুধু তাই নয় দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজকে আলোকিত করতে এই যুব সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। যুবসমাজ এদেশের ক্রান্তিকালে সব সময় নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে নিজেরা যেমন হয়েছেন ইতিহাসের উজ্জ্বল স্বাক্ষী, তেমনিভাবে তাদের এই আত্মত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হয়ে আছে চির অনুসরণীয়।

গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে এ দেশের যুবসমাজ সবসময় ছিলো সক্রিয় এবং অনাচারের বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠকে সব সময় উচ্চকিত করেছে, তারই মধ্য দিয়েই এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। তবে আজ সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে যুব সমাজ কখনো কখনো আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে। কারণ সমাজের কল্যাণকর কাজের পাশাপাশি আমরা দেখতে পাই যুবসমাজ নানা ধরণের ঘৃণ্য অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, যুবসমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য কখনোই কাম্য নয়। এ দেশের যুবসমাজ প্রগতিশীল ভাবনা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে যে অতীত স্বর্ণালী ইতিহাস তৈরি করেছে তা আজও অব্যাহত থাকবে। পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জল করবে-এটাই প্রত্যাশা।

Print Friendly

Related Posts