আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার পবিত্র আখেরী চাহার সোম্বা পালিত হবে। বাংলাদেশের আকাশে রোববার (২৮ আগস্ট) ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই মোতাবেক সোমবার থেকে পবিত্র সফর মাস গণনা শুরু হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রোববার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুনিম হাসান।
সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন,ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়,বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে। এ হিসেবে ১৪ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৯ আগস্ট সোমবার থেকে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাস গণনা শুরু হবে।
আখেরী চাহার শোম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস। আখেরী চাহার শোম্বা একটি আরবী ও ফার্সি শব্দ-যুগল; এর আরবী অংশ আখেরী, যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ চাহার শোম্বা, যার অর্থ “বুধবার”।
১১ হিজরির শুরুতে রসূলুল্লাহ (স) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। ২৮ সফর বুধবার মহানবী (স) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার।
এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় রসূলুল্লাহ (স) গোসল করেন এবং শেষবারের মত নামাজে ইমামতি করেন। মদীনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন এবং দলে দলে এসে নবী (স) কে একনজর দেখে গেলেন। সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন। নবীর রোগমুক্তিতে তার অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তাদের কেউ দাস মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন; যেমনঃ আবু বকর সিদ্দিক (রা) ৫ হাজার দিরহাম, উমর (রা)৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী (রা) ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা) ১০০ উট দান করেন।
উল্লেখ্য যে, ২৯ সফর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার মাত্র কয়েক দিন পর ১২ই রবিউল আউয়াল ইহকাল ত্যাগ করেন মানবতার মুক্তিদূত হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ।