অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আকবর আলি খানের ভাই কবির উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আকবর আলি খানের স্ত্রী কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার একমাত্র এক মেয়েও মারা গেছেন। তিনি ও তার শ্বাশুড়ি জাহানারা রহমান এক সঙ্গে বসবাস করতেন। শ্বাশুড়ির বয়স গত ২৯ আগস্ট ১০০ বছর অতিক্রম করেছে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
১৯৪৪ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন আকবর আলি খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ে এবং কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। পিএইচডি গবেষণাও করেন অর্থনীতিতে। আকবর আলি খান মূলত চৌকস আমলা হিসেবে পরিচিত। তবে শিক্ষকতাও করেছেন। অবসর নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। অবসরের পর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। ২০০৬ সালে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়ার আশঙ্কায় তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে তিনিও একযোগে পদত্যাগ করেন। আকবর আলি খান রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
অবসরের পর তিনি লেখালেখিতেই পূর্ণ মনোযোগ দেন। অর্থনীতি, ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, সাহিত্য—বিচিত্র বিষয়ে তার গবেষণামূলক বই পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
আকবর আলি খানের সর্বশেষ আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘পুরানো সেই দিনের কথা। ‘ আকবর আলি খানের সর্বশেষ আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘পুরানো সেই দিনের কথা’। এই গ্রন্থে একজন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের জীবনের উন্মেষ ও বিকাশের কাহিনী উঠে এসেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জলাভূমিতে লালিত সাদাসিধে বালকটি ছিলেন কল্পনাবিলাসী ও অন্তর্মুখী। মুখচোরা বালকটি মাঠপর্যায়ের প্রশাসক হন। দায়িত্ব নেন আইনশৃঙ্খলা, ভূমি প্রশাসন, উন্নয়ন প্রশাসন, নির্বাচন, এমনকি চা-বাগানের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার।