পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র দেশি ই-কমার্স গ্রুপ হিল ই-কমার্স সোসাইটির ফেসবুক গ্রুপে এক লক্ষ সদস্য হওয়ায় শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে সংগঠনটি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
হিল ই-কমার্স সোসাইটির এডমিন ও সভাপতি মনি পাহাড়ীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে হিল ই-কমার্স সোসাইটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কনসালট্যান্ট ওমর ফারুক, পরিচালক আশিক সুমন, ঢাকা জেলা সমন্বয়ক ও জন্মভূমি ট্যুরিজমের সত্ত্বাধিকারী মাহফুজুল হক, সিনিয়র মডারেটর পিটম চাকমা, সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা, মডারেটর স্বপ্না চাকমা, নিমা চাকমা ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি তুষার চাকমা।
হিল ই-কমার্স সোসাইটির পরিচালক রন্ত কুমার তঞ্চঙ্গ্যার সঞ্চালনায় রাঙামাটির ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রজেক্টরে একটি শর্ট ডকুমেন্টারির মাধ্যমে হিলস এর কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাঠ করেন হিলস এর পরিচালক আশিক সুমন। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ও হিলস এর পরিচালনা পর্ষদ।
এছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন হিলস এর কনসালট্যান্ট ওমর ফারুক, এডমিন মনি পাহাড়ী ও সমন্বয়ক মাহফুজুল হক।
এ সময় সাংবাদিকদেরকে হিলস এর মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আগামীদিনের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে পাহাড় থেকে স্বল্প বিনিয়োগ এক্সপোর্টার তৈরি করার কথা উঠে আসে।
সংবাদ সম্মেলন যে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটি হলো তাদের “ভিলেজ অব কালচার” নামে উদ্যোক্তা অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা। যেখানে উৎপাদন, প্রদর্শনী ও বিক্রয় সবটাই হবে। সাথে থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন। হিলস এর স্বপ্ন অনুযায়ী এই উদ্যোক্তা অঞ্চলটি হবে একখন্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড়ের সকল জাতিসত্তার বর্ণিল সংস্কৃতি দেখতে পাবে একখানে। ফলে ব্যাপক পর্যটকদের আকর্ষণ তৈরি হবে। এভাবে প্রোডাক্ট এর পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও অবদান রাখতে চায় হিলস।
হিল ই-কমার্স সোসাইটির এডমিন ও সভাপতি মনি পাহাড়ী বলেন, হিলস এ সম্পৃক্ত এডমিন, মডারেটর, পরিচালক, টিম মেম্বারদের নিজস্ব অর্থায়নে এখন পর্যন্ত সকল কাজ হয়ে আসছে। কিন্তু বড় বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার অথোরিটির সাথে সহজ যোগাযোগ এর সুযোগ তৈরি করা। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, হিল ই-কমার্স সোসাইটি মাত্র দেড় বছরে ৩০ জন লাখপতি সেলার তৈরি করেছে। এই স্বল্প সময়ে হিলস এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় হয়েছে ৩ কোটি টাকার উপরে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে হিলস তার মূল্যায়ন প্রয়োজন। সেটা অর্থ দিয়েই হতে হবে এমন নয়। অন্তত ই-কমার্স খাত নিয়ে যখন কোনো আলোচনা, সিদ্ধান্ত বা ভাব বিনিময় হয় সেখানে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র ই কমার্স গ্রুপ হিসেবে হিল ই-কমার্স সোসাইটি তাদের মত প্রকাশের সুযোগটা প্রত্যাশা করেন।