নূর আহমদ: পর্যটকদের পদভারে মুখরিত ‘প্রকৃতি কন্যা’ সিলেট। যেন পর্যটকদের ঢল নেমেছে। হোটেল মোটেলগুলো টুইটম্বুর। বড়দিনসহ দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি একসঙ্গে পাওয়ায় প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এখানে ছুটে এসেছেন।
বছরের যে কোন মৌসুমে একটুখানি অবসর পেলেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে সিলেটে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। স্বচ্ছ নীল জলরাশি, দিগন্ত বিস্তীর্ণ হাওরে শান্ত জল, হিজল করচের সারি, পাল তোলা নৌকা, পাহাড়ে মেঘের লুকোচুরি, পাখির কলতান, ভিন্ন ভাষার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় সংস্কৃতি উপভোগ করে প্রাণ জুড়ান।
পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে সিলেটের হোটেল মোটেলগুলোও বেশ প্রস্তুতি নেয়। ব্যস্তসময় পার করছেন হোটেল কর্মীরা।
সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ:) এর মাজার, শাহপরান (রহ:) এর মাজার, জাফলং, পাংতুমাই ঝর্ণা, সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা, রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট, কুলুম ছড়া, মালনীছড়া চা বাগান, খাদিম জাতীয় উদ্যান, ডিবির হাওর, উৎমাছড়া ঝর্ণা, লোভাছড়া, লালাখাল, বিছানাকান্দিও ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরসহ সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়াতে যাচ্ছেন সিলেটে আগত দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে হজরত শাহজালাল রহ ও শাহপরান রহ এর মাজারে ভক্তদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ।
ঢাকা থেকে আগত রফিকুল ইসলাম জানান, পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে সিলেটে বেড়াতে এসেছেন। বহু কষ্টে হোটেল ম্যানেজ করেছেন। বিভিন্ন হোটেলে দু-একটি রুম ম্যানেজ করতে পারলেও এরচেয়ে বেশি একসাথে পাওয়া কঠিন। এরপর বন্দরবাজারের একটি নিম্ন মধ্যমানের হোটেলে ঠাঁই হয়েছে তাদের।
সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন জানান, সিলেট শহরের অনেক আবাসিক হোটেলে রুম খালি নাই। কিছু পর্যটক আগে রুম বুকিং না দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন।