ঢাকাকে জেতালেন নাসির

ইনজুরির জন্য গত সিজনে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নেননি নাসির হোসেনকে। এবার সুযোগ পেয়েছেন ঢাকা ডমিনেটর্সে। কেবল সুযোগই পাননি রীতিমতো অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাসিরকে।

দায়িত্ব নিয়ে চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ক্যাপ্টেনস নক খেলে দলকে জিতিয়েছেন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। মিরপুরের শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা।

যদিও এই ম্যাচে ঢাকা শিবির এবং নাসির দুইজনই পেয়েছেন ক্যাচ মিসের দারুণ ভাগ্য। খুলনার ক্রিকেটাররা ৪টি ক্যাচ মিস করে ঢাকার জয়ের পথ সহজ করে দেন। এছাড়াও ম্যাচে ঢাকার ব্যাটিং ইনিংসের সময় দুইবার বিতর্কের জন্ম হয়।

এদিন টসে জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকার অধিনায়ক নাসির। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩ রান তুলতে পারে খুলনা শিবির। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক নাসিরের অপরাজিত ৩৬ রানে ভর করে ইনিংসের শেষ ওভারে এসে জয় পায় ঢাকা।

মিরপুরে এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনার ব্যাটসম্যানরা ঘুমপাড়ানি ক্রিকেট খেলতে থাকেন। দলটির পক্ষে কেবল পাকিস্তানের দুই রিক্রুট আজম খান এবং ওয়াহাব রিয়াজ একশ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। যদিও সংখ্যাগুলো বেশ ছোটই। আজমের ব্যাট থেকে ১৮ এবং ওয়াহাব করেন ১০ রান।

‘খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে অধিনায়ক ইয়াসিরের ব্যাট থেকে। এই রান করতে এই ব্যাটসম্যান খেলেন ২৫ বল। ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ ছিলেন তামিম ইকবাল। তিনি ৮ রান করতে খেলেন ১৫ বল। ঢাকার পক্ষে আল আমিন হোসেন ২৮ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া অধিনায়ক নাসির ও আরফাত সানি নেন ২টি করে উইকেট।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ৪৭ রান তুলে ফেলে ঢাকা। তবে তার আগে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন। তিনে নেমে সৌম্য খেলেন ১৬ রানের ইনিংস।

আউট হওয়ার আগে সৌম্যকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ঢাকার ইনিংসে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে নাসুমের বলে সৌম্যকে এলবি আউট দেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। এই ব্যাটসম্যান সেই সময়ে এডিআরএসের আশ্রয় নেন। সেখানে চেক করেও থার্ড আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। কিন্তু সৌম্য সেই আউট মানতে রাজি হননি। যদিও টিভি আম্পায়ারও নিজের সেই সিদ্ধান্ত বদলিয়ে ফেলেন।

ঠিক সেই মুহূর্তে খুলনা শিবিরও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর ঠিক পরপরই ওয়াহাব রিয়াজের একটি নো বল ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেই এক বলের বিনিময়ে ওয়াহাব হজম করেন ১৪ রান।

যদিও এরপর দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা শিবির। তবে শেষদিকে ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস এবং নাসির হোসেনের দারুণ ইনিংসে ভর করে জয় তুলে নেয় ঢাকা। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরা হন নাসির।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts