কোলেস্টেরল তাড়ানোর মোক্ষম দাওয়াই

একবার কোলেস্টেরল হলে খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা দরকার। এমন অনেক জিনিস আছে, যা খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়ে যায়। কোলেস্টেরল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। কারণ, কোলেস্টেরল থেকে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। কোলেস্টেরলে ভুগলে ঘরোয়া প্রতিকারেই মিলবে আরাম।

খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর জন্য নানা ধরনের ওষুধ, খাবারের সাহায্য নেন অনেকে। তবে তাতে তেমন ফল হয় না। কোলেস্টেরল কমানোর মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে ইসবগুল। ওষুধ লাগবে না। তার চেয়েও তাড়াতাড়ি কমবে কোলেস্টেরল।

ইসবগুল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কয়েকটি গবেষণা অনুসারে,ইসবগুল অন্ত্রে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। যাতে খারাপ কোলেস্টেরল শোষিত হয় না, মলের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে,১২ সপ্তাহের চিকিৎসার পর কোলেস্টেরলের মাত্রা ০.৪২ mmol/l (৮.৭%) কমেছে।

৮ সপ্তাহের ডায়েট প্ল্যানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিদিন দেওয়া হয়েছিল ৭ গ্রাম ইসবগুল। আর একদল অংশগ্রহণকারীকে দেওয়া হয়েছিল ১০.৫ গ্রাম ইসবগুল। তা এলডিএল কোলেস্টেরল ০.৪৮ mmol/l (৯.৭%) কমিয়ে দিয়েছিল। ইসবগুল ও ডায়েটে ৬ মাস সময়ের মধ্যে LDL কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭-৮.৯% কমিয়েছে।

 

কোলেস্টেরলর কমাতে ইসবগুল কীভাবে খাবেন? 

 

কোলেস্টেরল কমাতে ইসবগুল ঘরোয়া প্রতিকার। ইসবগুল প্রতিদিন খাওয়া যায়। প্রতিদিন এক চা চামচ ইসবগুল এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে খান। কোলেস্টেরল রোগীরা সন্ধ্যায় ইসবগুল খেলে লাভ পাবেন। এর সঙ্গে কমপক্ষে এক গ্লাস জল পান করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন এটি খান।

রিপোর্ট অনুসারে, কেউ কোলেস্টেরল কমাতে ১ গ্লাস জলের সঙ্গে প্রতিদিন ১০-২০ গ্রাম ইসবগুল খেতে পারেন। প্রতিদিন ২০ গ্রাম ইসবগুল কোষ্ঠকাঠিন্যর প্রতিকার করে।

 

ইসবগুলের উপকারিতা 

 

কোষ্ঠ কাঠিন্যে উপশম

ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে

হজমে উন্নতি

শরীরকে ডিটক্স করে

 

যা মাথায় রাখবেন 

 

এলডিএলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ইসবগুল ঘরোয়া প্রতিকার। যদি আপনার ডাক্তার খারাপ কোলেস্টেরলের ওষুধ লিখে থাকেন, তাহলে সেগুলি খাওয়া বন্ধ করবেন না। ইসবগুল খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া বা অন্য কোনো সমস্যা অনুভব করলে বন্ধ করুন।

 

Print Friendly

Related Posts