মাওলা সুজন: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক আশিককে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি করা হয়েছে। এ সময়ে তিনি প্রমোশন, আপগ্রেডেশনের কোন আবেদন করতে পারবেন না এবং শিক্ষাছুটিতে যেতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও ওই অফিস আদেশে জানানো হয়।
অফিস আদেশে আরো বলা হয়েছে, পদাবনতি ছাড়াও বিভাগের বর্তমানের যে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে উক্ত ব্যাচসমূহের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না । বিভাগের নতুন ব্যাচে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষার কাজে অংশ নিতে পারবেন। তবে তার ক্লাস কার্যক্রম বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
গত বছরের ১৪ ও ১৬ আগস্ট শিক্ষা বিভাগের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা শিক্ষক মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিং, যৌন হয়রানি, মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের রাতে ডেকে নিয়ে নিজ অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখা, পরীক্ষায় খেয়াল খুশিমতো নম্বর দেওয়া, পরীক্ষার আগে পছন্দের শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বলে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষা অনুষদের ডিন, বিভাগটির চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
