বিপিএলের নবম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এই প্রথম সিলেট উঠল বিপিএলের ফাইনালে। আর এই অর্জনের পেছনে অন্যতম কারিগর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিপিএলের ৯ আসর এই নিয়ে পঞ্চমবার ফাইনালে পা রাখলেন ম্যাশ। আগের চারবারই তিনি উঁচিয়ে ধরেছেন ট্রফি। তাহলে কি মাশরাফি কোনো জাদু জানেন?
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৯ রানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে কোনো ম্যাজিকের কথা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘কোনো ম্যাজিক না, সবই আল্লাহর রহমত ভাই। হারিনি বলে যে হারব না তা না, আবার হেরে যাব সেজন্য নামব না। তো আমার মনে হয়, যা হয়েছে পিছনে তা আর স্মরণ করে লাভ নাই। পরশু আমাদের একটা ফাইনাল আছে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যদিও কুমিল্লা টিম এই টুর্নামেন্টে যে কারও থেকে অনেক অনেক ভালো।’
সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ১৯ রানে হেরে বিপিএলের নবম আসর শেষ হয়ে গেছে রংপুর রাইডার্সের। অথচ ১৮২ রান তাড়ায় নেমে ১৭ ওভার পর্যন্ত রংপুরের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল। ওই ওভার শেষে নাটকীয়ভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সিলেট। রংপুরের ইনিংসের শুরু থেকে কিপিং না করা মুশফিকুর রহিম হঠাৎ করেই ১৭তম ওভার শেষে মাঠে নামেন। তাকে নামতে দেওয়া হবে কিনা- এ নিয়ে দুই দলের সঙ্গে আম্পায়ারদের কথা চালাচালি হয়।
কয়েক মিনিট আলোচনার পর উইকেটকিপার আকবর আলীকে তুলে নিয়ে মুশফিককে মাঠে নামার অনুমতি দেন আম্পায়ার। তবে কিপার হিসেবে নয়, ফিল্ডার হিসেবে। কিপিং গ্লাভস ওঠে জাকির হাসানের হাতে। তানজিম সাকিবের করা ১৮তম ওভারে আউট হয়ে যান রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ওই আউটই মোমেন্টাম হারিয়ে জয়ের রাস্তা থেকে সরে যায় রংপুর। ম্যাচ শেষে মুশফিকের ওভাবে মাঠে নামায় যে সময় নষ্ট হয়েছে- সেটাকেই হারের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রংপুর কোচ সোহেল ইসলাম।
সিলেট স্ট্রাইকার্স ইচ্ছে করে কৌশল হিসেবে এই পরিবর্তন করেছে কি না জানতে চাইলে সোহেল বলেন, ‘আমি আসলে জানি না এটা কৌশল ছিল বা কিছু…। যেটা হয়েছে, মুশফিক প্রথম থেকে ব্যাটিং করেছে, আমি জিজ্ঞেস করেছি যারা থার্ড আম্পায়ার (আসলে চতুর্থ), তারা বলেছে যে জ্বর আসছে, সে জন্য আসলে বাইরে। আমার কথা হচ্ছে যে, জ্বর যখন আসবে; তখন কি অন্য দল এর দায়িত্ব নেবে? নিশ্চয়ই না। মাঠের ভেতর যদি ইনজুরি হয়, তাহলে যেটা নিয়ম আছে, সেটা হবে। কিন্তু যদি জ্বর আসে সেক্ষেত্রে…ওই ব্যাপারটা নিয়েই কথা হচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুশফিক যখন নামে, ওই সময় বেশ কিছু সময় কিন্তু চলে গেছে। এটা এক-দুই মিনিটের ব্যাপার না, অলমোস্ট প্রায় পাঁচ-ছয় মিনিটের ব্যাপার। ওই সময় আমরা বেশ ভালো অবস্থানে ছিলাম, একটা ফ্লো ছিল। ওই ফ্লো নষ্ট হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকর ছিল। আমাকে থার্ড আম্পায়ার যেটা বলেছে (আসলে চতুর্থ), মুশফিকের জ্বর আসছে। সেজন্য মুশফিক কিপিং করতে পারছে না। কিন্তু আমাদের অধিনায়ক এ বিষয়ে জানত না। এটা নাকি বাইরের ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে তারা ঠিক করেছে। আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।’