বীথির মুখমণ্ডলের লোম গজানো বন্ধে ‍উদ্যোগ

বিডিমেট্রোনিউজ মুখমণ্ডলসহ শরীরে লোম নিয়ে জন্ম নেওয়া বীথি আক্তারের (১২) মুখমণ্ডলে প্রথমবারের মত লেজার থেরাপি দেওয়া হয়েছে। সোমবার চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী এই লেজার থেরাপি দেন বলে জানান বীথির বাবা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বীথি বিছানায় শুয়ে আছে। মুখে আগের মত দাঁড়ি গোফ নেই। তবে ছেটে ফেলার চিহ্ন রয়েছে।

বীথির বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা বীথিকে  চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরীর কাছে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে ১২শ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তাকে দেখাই। পরে তিনি লেজার থেরাপি দিয়েছেন। তিনি ওই ১২শ টাকাও ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন লেজার থেরাপিতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তিনি কোনো টাকা নেবেন না। ফ্রিতে বীথিকে লেজার থেরাপি দেবেন।’

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ওই চিকৎসক জানিয়েছেন অন্তত ২০ বার থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ২০ দিন পর তাকে আবার থেরাপি দেওয়া হবে।’

বীথির বাবা জানান, বীথিকে হাসপাতালের ডি ব্লকের ১৬ তলার হরমোন বিভাগ থেকে বুধবার সি ব্লকের  ৯ তলায় ২২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ ও প্রসুতি বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরিন আক্তার বেগম বলেন, ‘বীথিকে লেজার থেরাপির জন্য যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরীর কাছে পাঠানো হয়। সোমবার তাকে প্রথমবারের মত লেজার থেরাপি দেওয়া হয়েছে। লেজার থেরাপির পর আমরা বীথির স্তনে অস্ত্রোপচার করতে চাচ্ছি।’

ডা. শিরিন আক্তার বেগম জানান, কানাডা থেকে তার এক আত্মীয় বীথির চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া লেজার থেরাপিতে যদি টাকার প্রয়োজন পড়ে তাহলে  শিরিন আক্তার নিজে খরচ বহন করবেন। এর আগে বীথির চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকা দিয়েছে ওয়ালটন।

বীথির বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বীথির জন্ম থেকেই মুখে দাড়ি-গোঁফসহ শরীরে লোম ছিল। এক বছর আগে স্তন অস্বাভাবিক আকারে বাড়তে থাকে। স্তনে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এর আগে সাত বছর বয়সে দাঁত পড়ে যায়। পরে আর সেই দাঁত গজায়নি।

গত ১৬ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্ডোক্রাইনোলজি (ডায়াবেটিস ও হরমোন) বিভাগের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বীথিকে ভর্তি করা হয়।

টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার জয়ভোগ গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের তিন সন্তানের মধ্যে বড় বীথি। জয়ভোগ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts