জয় দিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল সাকিব আল হাসানের দল।ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতে শুভসূচনা করলো বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে আইরিশদের যে লক্ষ্য দাঁড়ায় তাতে ওভারপ্রতি ১৩ করে প্রয়োজন ছিল পল স্টার্লিংদের। এমন লক্ষ্যেও শুরুটা ভালোই করেছিল আইরিশরা। ওপেনারদের ঝোড়ো শুরুতে দুই ওভারে ৩২ রান আসে সফরকারীদের। তবে এরপরই রানের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। আসে দ্রুত কিছু উইকেটও। তাতে শেষ পর্যন্ত আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি আয়ারল্যান্ড।
সোমবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টি আইনে আয়ারল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ইনিংস নির্ধারিত সময়ে মাঠে না গড়ানোয় ম্যাচের দৈর্ঘ কমে যায়।
কার্টল ওভারে আয়ারল্যান্ডের টার্গেট নির্ধারিত হয় ৮ ওভারে ১০৪ রান। রান তাড়ায় ঝড়ো শুরু করেছিল তারা। ২ ওভারে ৩২ রান করা দলটি এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়।
আইরিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেস বোলার হাসান মাহমুদ। তার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন রস এডেয়ার।
এরপর আয়ারল্যান্ড শিবিরে পরপর আঘাত হানেন তাসকিন। তার করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লরকান টাকার।
ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড পল স্টার্লিং। পঞ্চম বলে কাভারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জর্জ ডকরেল। তাসকিনের হ্যাটট্রিক বলটা লং অফের ওপর দিয়ে তুলে চার মেরেছেন গ্যারেথ ডিলানি।
৭.১ ওভারে দলীয় ৭২ রানে তাসকিনের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন হেরি টাকার। শেষ পর্যন্ত ৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তুলতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড।
২২ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আগামী বুধবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হবে।
সোমবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রানের রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেই সম্ভাবনা ভেস্তে যায়।
১৯.২ ওভারে বৃষ্টি শুরুর আগে বাংলাদেশ করে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। শেষ ৪ বলে আর মাত্র ৯ রান করলেই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হতো।
এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২১৫ রান করে বাংলাদেশ।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪৩ বল মোকাবেলা করে ৯১ রানের জুটি গড়েন তারা।
মাত্র ২৩ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করে ফেরেন লিটন। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ বলে ১৪ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৩.৬ ওভারে দলীয় ১৫৪ রানে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। তার আগে ৩৮ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্য দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১৭২ রানে ২০ বলে দুটি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৩০ রান করে ফেরেন শামিম হোসেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২০১ রানে আউট হন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ৮ বলে এক ছক্কার সাহায্যে তিনি করেন ১৩ রান।
১৯.২ ওভারে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২০৭ রান। ১৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২০ আর এক বলে ৪ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। খেলার এমন অবস্থায় শুরু হয় বৃষ্টি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।