পুরো ক্যারিয়ারে অসম্ভব পেশাদারিত্ব মেনে চলেছেন মেসি। কিন্তু এমন নিষেধাজ্ঞার পর অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তবে দোষটা যে মেসির নয়, সেটা নিশ্চিত! মূলত লরেন্ত ম্যাচের পর দুই বা তিন দিন এমনিতেই ডে-অফ পাওয়ার কথা মেসিদের। আর্জেন্টাইন তারকা সেটা ধরে নিয়েই সোমবার সকালে পিএসজির সঙ্গে কথা বলেন। এর পরপরই সৌদির বিমানে ওঠেন।
কিন্তু হুট করেই ওই দিন সকালের কিছু সময় পর শিডিউলে পরিবর্তন আনে পিএসজি। সোমবার বিকেলে অনুশীলনের শিডিউল রাখা হয়। কিন্তু এই শিডিউল ঠিক হওয়ার আগেই মেসির বিমান সৌদির আশপাশে। যেমনটা জানিয়েছেন দলবদল নিয়ে নিয়মিত ব্রেকিং নিউজ করা সাংবাদিক রোমানো।
পেশাদার ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন লিওনেল মেসি। এর আগে কোনো ক্লাব বা দলের নিয়ম ভেঙে এমন শাস্তি পাননি আর্জেন্টাইন তারকা। দীর্ঘ সময় বার্সাতে কাটালেও কখনও তাকে এমন বা এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়নি।
এখন পর্যন্ত মেসির নিষেধাজ্ঞা-পরবর্তী পিএসজি কোনো বিবৃতি বা ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে আরএমসি স্পোর্টস জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি নীতিমালা করেছে ক্লাবটি। যেখানে লেখা– একজন খেলোয়াড়, তিনি যত বড় তারকা হোন না কেন কিংবা যত দামি ক্লাব তার চেয়ে বড়, ক্লাবের ঊর্ধ্বে কেউ নন।
মেসি-পিএসজির সম্পর্ক ইতি হয়ে যাওয়ায় এখন প্রশ্ন উঠেছে আর্জেটাইন তারকার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? মেসিকে পেতে বার্সার দৌড়ঝাঁপ এখন সবারই জানা। তবে পিএসজি এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সৌদি আরব নাকি নড়েচড়ে বসেছে। তাদের ক্লাব আল হিলাল খুব করে চাইছে মেসিকে দলে টানতে।
আবার সৌদি মালিকানাধীন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসলের এক মুখপাত্রও মেসিকে নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সরাসরি জানিয়ে রেখেছেন, মেসির জন্য তাদের দুয়ার খোলা।
https://twitter.com/i/status/1653848778904948738
এদিকে মেসি-পিএসজির টানাপোড়নের সম্পর্কের মধ্যেই এবার নেইমারের বাড়ির সামনে হানা দিয়েছে ক্লাবটির সমর্থকেরা। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে পিএসজি ছাড়তে বলেছেন এক দল সমর্থক। পিএসজির অফিশিয়াল সমর্থক গোষ্ঠী ‘আল্ট্রা’র পক্ষ থেকে বিক্ষোভও করা হয় ক্লাবের প্রধান কার্যালয়ের সামনে। তাদের হাতে ছিল ক্লাবের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা ব্যানার।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিএসজির ওই সমর্থকেরা মেসি, নেইমার ও মার্কো ভেরাত্তির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফির প্রতিও। পিএসজির প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে তারা অবস্থান করেন নেইমারের বাড়ির সামনে। সেখানে ‘নেইমার চলে যাও’ স্লোগান দেন তারা।
বাড়ির সামনে সমর্থকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন ব্রাজিল তারকা নিজেই। ‘আই ওয়াজ ক্লিয়ার’ নামে ইনস্টাগ্রামের এক পেজ থেকে বিক্ষোভের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে নেইমার দুটি মন্তব্য করেন। প্রথমটিতে লেখেন, ‘তারা বাড়িতে গিয়েছিল’। দ্বিতীয় বার্তায় লেখেন, ‘তারা এই মাত্র চলে গেছে।’