বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তিনি ঘুরে ফিরে নিজের যোনিকে তুলে ধরেন শিল্পকর্মে। শিল্পকলা জগতে তিনি পরিচিত ‘যোনিশিল্পী’ হিসেবেই। তিনি জাপানের মেগুমি আইগারিশ। মধ্য চল্লিশের আইগারিশ যে নৌকা করে নদী দাপিয়ে বেড়ান তার আকারও যোনির মতো। তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন যোনি আকারের বাড়ি বানাবেন। তার জন্য অনলাইনে অর্থ সংগ্রহে নেমেছিলেন। পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে ছেড়েও দেয়।
দু দশক আগে যখন তিনি শিল্প জগতে প্রবেশ করেন তখনই যোনিকে বেছে নেন তার শিল্পের কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে। কোনও বিতর্কের তোয়াক্কা করেননি কখনও। এবার অবশ্য খুব ফেঁসে গিয়েছেন। টোকিওর জেলা আদালত তাকে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে চার লক্ষ ইয়েন (৩ হাজার ৭০০ ডলার) জরিমানা করেছে।
জাপানে যৌন ব্যবসার রমরমা থাকলেও যৌনাঙ্গ প্রদর্শন এবং যৌনাঙ্গের চিত্রায়ন নিষিদ্ধ। আইগারিশ এস্কিমোদের কায়াকের আদলের যে নৌকা করে ঘুরে বেড়ান সেটি আসলে তার নিজের যৌনাঙ্গের প্রতিরূপ। তার যোনি স্ক্যান করে তা দিয়ে থ্রি ডি প্রিন্টারে ২ মিটার লম্বা প্রিন্ট বার করা হয়েছে। নৌকাগুলি বিক্রির জন্য একটি দোকানে রাখার পরই তাঁর নামে মামলা হয়।
আদালত ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে, কায়াক যখন প্রদর্শনীতে রাখা হয় তখন তা শিল্পকর্ম হিসেবে গণ্য হবে। আর বিক্রি করলেই তা হবে অশ্লীল।