মনজুরুল আলম মুকুল
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেট বক্তব্যকালে বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিষয়ে কিছু আশার কথা শুনবেন বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্যের দাম কিন্তু শিক্ষকদের আয় বাড়ছে না। তাদের সংসারে এখন নুন আনতে পানতে ফুরানোর মতো অবস্থা। শিক্ষকরা তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় বাজেট বক্তব্য ছিল তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বাজেটে কোনো সুখবর না থাকায় তারা হতাশ হয়েছেন। সেকারণে দাবি আদায়ে তারা আবারও নতুন করে মাঠে নেমেছেন।
শিক্ষাই যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে বলতে হবে শিক্ষকরাই সেই মেরুদণ্ড তৈরির প্রধান উপাদান। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য ছিল সবার জন্য শিক্ষা। আর এই শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আজ শিক্ষকরা মর্যাদাহীনভাবে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসছেন দাবি আদায়ের জন্য। এটা কখনই কারো জন্য ভাল খবর হতে পারে না। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার হ-য-ব-র-ল অবস্থা দীর্ঘদিনের অথচ সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট গবেষক ও শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হাতেগোনা। যে কারণে শিক্ষার্থীদের ভরসা এমন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো না সরকারি, না বেসরকারি। দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এই ধরনের।
এক সময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তেমন কিছু পেতেন না। সরকার সেসময় এসব শিক্ষকদের কিছু প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে তিন মাস পরপর তাদের অনুদান দেওয়া হতো। আশির দশকে সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষকদের প্রণোদনা প্রতিমাসে দেওয়া দরকার। বিষয়টিকে এখন বলা হয় মান্থলি পে-অর্ডার (এমপিও) বা মাসিক বেতন আদেশ। মোটামুটি এটিই স্থায়ী ও পাকাপোক্ত হয়ে গেছে। দেশের মাধ্যমিক শিক্ষাটা পরিচালিতই হচ্ছে মূলত এই এমপিও নামক রাষ্ট্রীয় সহায়তার মাধ্যমে। যেটি কোনো স্থায়ী বা ভাল পদ্ধতি হতে পারে না বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
দেশে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ছয় লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর পদ রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক প্রায় সাড়ে চার লাখ ও কর্মচারী প্রায় দেড় লাখ। এদের প্রত্যেকে মান্থলি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সরকারের নিকট থেকে বেতন পেয়ে থাকেন।
শিক্ষকরা জানান, বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য তারা বছরের পর বছর আন্দোলন করে আসছেন। শুরুতে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দেওয়া হলেও ২০০৮ সাল থেকে শতভাগ দেওয়া শুরু হয়। শিক্ষকদের আন্দোলন ও দাবির মুখে ২০০৩ সাল থেকে কিছুটা উৎসব ভাতা দেওয়ার প্রথা চালু হয়। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন সাধারণ শিক্ষক স্কুল বা মাদ্রাসায় যোগদান করার সময় শুরুতে বেতন পান ১২,৭৫০ টাকা। বিএড করা থাকলে আরও কিছু বেশি পান। এছাড়া প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি হয় তাদের। শেষ বয়সে অবসরের সময় একজন সাধারণ শিক্ষকের বেতন দাঁড়ায় প্রায় ২৬/২৭ হাজার টাকা। ঈদ উৎসব ভাতা শিক্ষকদের জন্য বেতনের ২৫ শতাংশ আর কর্মচারীদের জন্য বেতনের ৫০ শতাংশ। পয়লা বৈশাখে ২০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতাও পেয়ে থাকেন তারা।
শিক্ষকরা জানান, ঈদ-পূজা তাদের কাছে অনেক কষ্টের। বর্তমান বাজারে তিন/চার হাজার টাকা বোনাস দিয়ে উৎসব পালন কল্পনাতীত বিষয়। সামনে কোরবানির ঈদ, এই টাকায় কোরবানি তো দূরের কথা, একটা পশুর নখও মেলে না। সমাজের অসহায় শ্রেণির জন্য বরাদ্দকৃত মসজিদ থেকে প্রাপ্ত মাংসই তাদের ভরসা। শিক্ষক হিসেবে প্রতি বছর এই মাংস খাওয়া যেমনি কষ্টের, তেমনি অমর্যাদাকরও বটে।
শিক্ষকদের মতে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি হলেও অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য প্রতি মাসে বেতনের একটা অংশ কেটে রাখা হয়। বৃদ্ধ বয়সে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা যথাসময়ে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অবসরে যাওয়ার পর সেই টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ক্ষেত্র বিশেষে কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় পেনশনের টাকা তোলার জন্য। ফলে অনেক শিক্ষক/কর্মচারী টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
শিক্ষকরা বলেন, সংসদে দেওয়া অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে বার্ষিক মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ ডলার। ২০৪১ সাল নাগাদ মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫০০ ডলার। প্রশ্ন হলো, বর্তমান মাথাপিছু আয়ের সমপরিমাণ অর্থ একজন বেসরকারি বা এমপিও-ভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক কি উপার্জন করতে পারছেন? তাহলে শিক্ষকদের নিম্মবিত্ত নাকি নিম্ন আয়ের প্রান্তিক মানুষ, কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবেন? তাদের আয়ের পুরোটাই জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য ব্যয় করার মতো অর্থ তাদের হাতে থাকে না। আর চিত্ত বিনোদনের বিষয়টাতো তাদের কাছে রীতিমতো বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে।
এ বিষয়ে শিক্ষা বিষয়ক গবেষকদের বক্তব্য স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও মাধ্যমিকের মত বিশাল শিক্ষা ব্যবস্থার এই হাল খুবই দুঃখজনক। শিক্ষা গ্রহণ মানুষের মৌলিক অধিকার। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি রাষ্ট্র শিশুদের জন্য শিক্ষাকে সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক, অবৈতনিক ও অত্যাবশ্যকীয় করার জন্য কাজ করবে। জাতিসংঘের মতে, শিশুর বয়সসীমা ১৮ বছর। অতএব শুধু প্রাথমিক শিক্ষা নয়, মাধ্যমিক শিক্ষাও অত্যাবশ্যকীয় ও সর্বজনীন অধিকারের মধ্যে পড়ে।
২০৪১ সালের মধ্যে সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উন্নত দেশ এমনিতেই হবে না। মানুষকে উন্নত জনশক্তিতে পরিণত হতে হবে এবং তারাই দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। দক্ষ জনশক্তি গড়ার সেই কারিগর শিক্ষকদের বঞ্চিত করে, তাদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ না করে ২০৪১ সালের লক্ষ্য টেকসই কীভাবে হবে?
বাংলাদেশে প্রতি বছর মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলছে। অর্থাৎ গত বছর কোনো পণ্য বা বা সেবা কিনতে যে টাকা খরচ করতে হয়েছে, এখন সেই একই পণ্য বা সেবা নিতে আগের তুলনায় বহুগুণ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর পর পর নিম্নতম মজুরী পুনর্বিবেচনা করার বিধান রয়েছে। এমন অবস্থায় শ্রমিক সংগঠনের নেতারা পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে ২৫ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা নতুন মজুরি ঘোষণার আগে ৬০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালু, রেশন কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য বিতরণ, প্রতিবছর ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, বাধ্যতামূলক অংশীদারত্বমূলক ভবিষ্যত তহবিল চালুসহ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি রাখে।
শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করার সক্ষমতা সরকারের নেই। তবে এই কথার সাথে অনেক শিক্ষাবিদ একমত নন। খরচ একটু বাড়তে পারে, তাই বলে যে দেশের অর্থনীতির উপর বড় চাপ পড়বে এটা তারা মনে করেন না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দের হার সবচেয়ে কম। ইউনেস্কোর ঘোষণা অনুযায়ী একটি দেশের মোট জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা দরকার। সেখানে এ বছর শিক্ষাখাতে জিডিপির মাত্র ১.৭৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত বাজেটে এটি ছিল ১.৮৩ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার আরো কমেছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জাতীয় বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অবশ্য শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তি মিলিয়ে এই হার হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করা সম্ভব নয়। কেননা অনেক প্রতিষ্ঠানের মান ভাল নয়, আবার অনেকে অনিয়ম করে। এক্ষেত্রে শিক্ষা বিষয়ক গবেষকদের যুক্তি হলো কিছু মানহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকতে পারে, তাই বলে এর জন্য সব প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের দায়ী করা ও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কি ঠিক হচ্ছে? তাছাড়া বিষয়টি দেখার দায়িত্ব মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের। সরকারি অফিসের পিওন-ড্রাইভার থেকে শুরু করে কর্মচারি-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে দুদককে হিমশিম খেতে হয়। এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক বিদেশে সম্পত্তি করেছেন, বাড়ি-গাড়ি করেছেন। তাহলে কেন শিক্ষকদের দায়ী করা হবে?
শিক্ষকতা মহান পেশা। যারা এ পেশায় এসেছেন সঙ্গত কারণে হয়ত তারা আর এ পেশা ছেড়ে যেতে পারছেন না। তবে ভেতরে ভেতরে তাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। যে কারণে তারা এখন বলতে বাধ্য হচ্ছেন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি না করা হলে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ না হলে সরকার এগুলো বন্ধ করে দিক, তারা আর পারছেন না। শিক্ষকদের অভিমানের এই দিকটি সুদক্ষ ও সুচিন্তিতভাবে বিবেচনার বিষয়।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একটা দেশ কতটা উন্নত বা স্মার্ট হবে সেটা মূল্যায়ন হবে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা উন্নত তার উপর। অতএব মাধ্যমিক স্তরের হ-য-ব-র-ল অবস্থা দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবী।
শিক্ষকরা অর্থনৈতিক টানাপড়েন থেকে মুক্তি পেলে শিক্ষাদানে অধিকতর মনোনিবেশ করতে পারবেন। একথা যেমন সত্য তেমনি এটাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তথা জাতির জন্য কল্যাণকর। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রের ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়েও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষা ছাড়া উন্নত এবং সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়া সম্ভব নয়। তিনি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে শিক্ষায় গতির সঞ্চার করেছিলেন। কিন্তু বাকিটা শেষ করতে পারেননি। এখন জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করা শুধু নৈতিক কর্তব্য নয়, উন্নত বা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য অপরিহার্যও বটে।
লেখক : সাংবাদিক
manzurul_1977@yahoo.com