মাছরাঙ্গার ‘টিপু ভাই’ আর নেই

বিডিমেট্রোনিউজ মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফাহিম মুনয়েম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। বুধবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুলশানের বাসায় ফাহিম মুনয়েমের মৃত্যু হয়। আগামী মাসে তার বয়স হতো ৬৩ বছর।স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে গেছেন ফাহিম মুনয়েম। সহকর্মী সংবাদকর্মীদের অনেকের কাছে ফাহিম মুনয়েম ‘টিপু ভাই’ হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন।

ফাহিম মুনয়েমের জন্ম ১৯৫৩ সালে, ঢাকায়। বাবা সৈয়দ নুরউদ্দিন এক সময় দৈনিক সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবস্থাপনায় লেখাপড়া করে আসার পর ১৯৮২ সালে সংবাদে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ফাহিম মুনয়েমের সংবাদপত্র জগতে প্রবেশ। এরপর মর্নিং সান ও ইউএনবিতে কাজ করেছেন তিনি, পালন করেছেন ডেইলি স্টারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব।

ডেইলি স্টারে থাকা অবস্থাতেই ২০০৭ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পান ফাহিম মুনয়েম। তার আগে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে জাপানে বাংলাদেশ ‍দূতবাসের প্রেস কাউন্সিলর করা হয়েছিল তাকে।

২০১০ সালে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় ফাহিম মুনয়েম যোগ দেন প্রধান নির্বাহী হিসেবে। গত ছয় বছর তার নেতৃত্বেই সম্প্রচার চালিয়ে আসছিল টেলিভিশন চ্যানেলটি। ফাহিম মুনয়েম ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য।

একজন সহকর্মী জানান, বুধবার ফাহিম মুনয়েমের মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার দুই ছেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

সৈয়দ ফাহিম মুনয়েমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ।

তার মৃত্যুতে আলাদা বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী বিএনপি নেতা এম শামসুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম।

এছাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের মহাসচিব ওমর ফারুক, এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

 

ছবি :স্ত্রী নাদিয়া মুনয়েমের সঙ্গে ফাহিম মুনয়েম

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts