কলকাতায় এসেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেস। লিওনেল মেসিকে নিয়ে মার্টিনেস বলেছেন, ভবিষ্যতে মেসির মতো ফুটবলার আর দেখা যাবে না।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পরে গোটা দল যখন এক দিকে উল্লাসে মত্ত তখন লিওনেল মেসি ছুটে গিয়েছিলেন তার কাছে। বিশ্বকাপের ফাইনালে জেতার পরেও তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল মেসিকে। সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেস কলকাতায় এসে বললেন, তিনি ভাগ্যবান যে মেসির সঙ্গে খেলেন। ভবিষ্যতে আর কেউ মেসি হবেন না বলে জানিয়েছেন মার্টিনেস।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষকের মতে, মেসিই সেরা।
কলকাতায় এসে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে একটি আলাপচারিতায় মার্টিনেস বলেন, ‘‘মেসি বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার। মেসি এক জনই। ভবিষ্যতে আর কেউ মেসি হবে না। আমি ভাগ্যবান যে মেসির সঙ্গে খেলি।’’
মার্টিনেসের চোখে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো শুধুই একজন ফুটবলার। তার বেশি নয়। মেসি-রোনাল্ডোর মধ্যে মেসিকে অনেক এগিয়ে রেখেছেন তিনি।
বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়েছিলেন মার্টিনেস। ম্যাচ শেষে মেসি তাকে কী বলেছিলেন সেটা জানিয়েছেন মার্টিনেস।
তিনি বলেন, ‘‘মেসি এসে বলেছিল, তুমি আগেও আমাদের জিতিয়েছ। আবার জেতালে। অনেক ধন্যবাদ।’’ কাতারে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের একটিই লক্ষ্য ছিল, মেসির জন্য কাপ জেতা। সেই কারণে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেও তাদের বিশ্বাস ছিল যে তারা জিতবেন।
ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে ফ্রান্সের কোলো মুয়ানির শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন মার্টিনেস। নইলে সেখানেই স্বপ্নভঙ্গ হত মেসিদের। গোল ছেড়ে এগিয়ে এসে পা ছড়িয়ে মার্টিনেসের সেই গোল বাঁচানোর অনেক প্রশংসা হয়েছে। কলকাতায় এসে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক জানিয়েছেন, মোটেই আকস্মিক কোনও ঘটনা ছিল না সেটা। তারা অনুশীলন করেছিলেন। তারই ফল পেয়েছেন।
সামনে বছর কোপা আমেরিকা। দ্বিতীয় বারের জন্য সেই ট্রফি জিততে চান মার্টিনেস। তার পরে আবার বিশ্বকাপ।
মার্টিনেস বলেন, ‘‘সামনের বছর কোপা জিততে চাই। তার পরে আবার বিশ্বকাপ জিততে নামব। আমাদের দল খুব ভাল। পরের বারও বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা আছে আমাদের।’’ তবে সামনের বছর কি মেসিকে পাবে আর্জেন্টিনা? তিনি অবসর নিলে কে হবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক? আপাতত সে সব ভাবতে রাজি নন মার্তিনেস। এখনও মেসিতে বুঁদ হয়ে রয়েছেন বিশ্বকাপে সোনার গ্লাভসের মালিক।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) কলকাতাবাসীর সামনে এলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেস। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে। বিশৃঙ্খলা সামলাতে হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। দর্শকদের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০-২৫ মিনিট পরে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছন মার্টিনেস। তার অনেক আগে থেকেই ভিড় জমেছিল সেখানে। মার্তিনেস মঞ্চে ওঠার পরে তাঁর ছবি তোলার জন্য এগোতে থাকেন দর্শকেরা। তাতেই ব্যারিকেড ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রায় ২০ মিনিট পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।
এর আগের দিন বাংলাদেশ ঘুরে যান এমিলিয়ানো মার্টিনেস।