বাংলাদেশের জয় ছিল শ্বাসরুদ্ধকর

টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল ১৬ মাস আগে  বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন পর সিলেটে রশিদ খানের দলকে হারাল টাইগাররা। জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তাওহিদ হৃদয় ও শামিম হোসেনের। কঠিন হয়ে যাওয়া ম্যাচে হৃদয়ের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং ও শামিমের স্ট্রাইক রোটেশনে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এ জয়ের মাধ্যমে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সাকিব আল হাসানরা।

রুদ্ধশাস লড়াইয়ে আফগানদের উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ দল। শেষ বলে বাউন্ডারি করে বাংলাদেশকে জয় ছিনিয়ে এনে দিয়েছে শরিফুল ইসলাম।

শেষ ওভারে ৩ বলে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ভিত নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন করিম জানাত।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ তাওহিদ হৃদয়।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের ভয়ের কারণ হয়ে উঠেন করিম জানাত। তার বলে একে একে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ। শেষদিকে ২ বলে ২ রান দরকার ছিল টাইগারদের। ঠিক তখনই ৪ হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল ইসলাম।

শুরুর দিকে বাংলাদেশ টপঅর্ডারের ব্যাটারদের হারিয়ে চাপে পড়লে হৃদয় ও শামিম মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে তারা আক্রমণাত্মকও হন। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। শামিম হোসেন করেন ৩৩ রান।
রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৫ রানে রনি তালুকদারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে ৪ রান করে রনি বোল্ড হন ফজলহক ফারুকীর বলে। এক উইকেটের পতনের পর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে ২৫ রান যোগ করার পর মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হন শান্ত। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল শান্তর গায়ে লেগে উইকেট ভেঙে দেয়।

দুই উইকেট হারিয়ে লিটন কুমারে ভরসা দেখছিল বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মে না থাকলেও বিগত কয়েক বছর তিনিই টাইগারদের সেরা ব্যাটার। কিন্তু এদিনও হাসেনি তার ব্যাট। ১৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে আজমতউল্লাহর শিকারে পরিণত হন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।


বৃষ্টির পর সাকিব আক্রমণ শুরু করেন আফগান বোলারদের ওপর দিয়ে। তবে বেশিক্ষণ সেই ধারা চলেনি। ফরিদ আহমেদের বলে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৭ বলে ৩ চারে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার করেন ১৯ রান।

এরপর হাল ধরেন দুই তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় ও শামিম হোসেন মিলে। সিঙ্গেল-ডাবলসের ফাঁকে ফাঁকে সুযোগ পেলেই বাউন্ডারি আদায় করে নিচ্ছিলেন তারা। তাদের দুর্দান্ত জুটি ভাঙেন রশিদ খান। এ সময় শামিম ৩৩ রান করে উইকেটের পেছনে গুরবাজকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মোহাম্মদ নবি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে।
বাকিদের মধ্যে নাজিবউল্লাহ জাদরান ২৩ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৬ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট পান নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts