ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন
দেশে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল গাইডলাইন অন ডায়াবেটিস মেলাইটাস তথা ডায়াবেটিস চিকিৎসায় জাতীয় গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ গাইডলাইন উম্মোচন করা হয়।
এর মাধ্যমে দেশের ১ কোটি ১৩ লাখ ডায়াবেটিস রোগী এবং কয়েক কোটি প্রি ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসায় একটি সমন্বিত গাইড লাইন ব্যবস্থাপনা তৈরী হলো। যা দেশের নন কমিউনিকেশন ডিজিজ কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার ব্যাপক সামর্থ্য বাড়িয়ে দিবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন।
নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’র লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো রোবেদ আমিন’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আকতার হোসেন,বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা শরফুদ্দিন আহমেদ,সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা এনায়েত হোসেন,স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.সাইদুর রহমান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক( প্রশাসন ) ডা.রাশেদা সুলতানা এবং জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি কোমোরি তাকাসিসহ শতাধিক দেশবরেন্য হরমোন,ডায়াবেটিস এবং মেডিসিন চিকিৎসকবৃন্দ।
গাইড উম্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ নন কমিউনিকেবল ডিজিজ তথা অসংক্রামক রোগে মারা যায়। ভয়াবহ তথ্য হতে এর ১০ শতাংশই শুধু ডায়াবেটিক জটিলতায় মারা যান এবং দিনকে দিন এর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আশংকা করা হচ্ছে ২০৪৫ সাল নাগাদ দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্বিগুনে পরিনত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,গাইডলাইনটি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ডায়াবেটিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে এবং সেবা ও সামর্থ্য বাড়াতে সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ডায়াবেটিস রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনই উপকৃত হবে না বরং কমে আসবে স্বাস্থ্য বাজেটের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আর্থিক চাপ।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানান, গাইড লাইনটি প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি অনলাইন অ্যাপ ভার্সনেও পাওয়া যাবে।