দলের জয় ততক্ষণে অনেকটাই নিশ্চিত। তখন ক্রিজে এসে হৃদয় খেললেন ক্যামিও ইনিংস।দলও পেলো দুর্দান্ত জয়। প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশি ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ শেষ করলেন দারুণ জয়ের স্মৃতি নিয়ে।
এবারের এলপিএলে এটাই শেষ ম্যাচ ছিল হৃদয়ের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত এলপিএলে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছিল। জয় দিয়েই তাই শেষ হলো হৃদয়ের প্রথম এলপিএল অভিযান। দেশে ফিরে তিনি যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
ব্যাট হাতে যখন নামলেন, খুব বেশি কিছু আসলে করার দরকার পড়েনি তাওহিদ হৃদয়ের। দরকার ছিল ম্যাচটা শেষ করে আসার, ৯ বলে অপরাজিত ১৪ রান করে সেই কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন জাফনা কিংসের এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। হৃদয় ম্যাচের শেষটা করেছেন দারুণভাবে, নাসিম শাহকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে।
মঙ্গলবার রাতে পাল্লেকেলেতে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে কলম্বো র্স্টাইকার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে জাফনা কিংস। এ ম্যাচে জাফনার হয়ে খেলা হৃদয় ৯ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের সংগ্রহ পায় কলম্বো। দলটির পক্ষে ৭ চারে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন পাথুম নিশাঙ্কা। এছাড়া লাহিরু উদারা ২৫ বলে ২৯ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ২০ বলে করেন ২৭ রান। ৩ ওভারে স্রেফ ৯ রান খরচায় ২ উইকেট নেন দুনিথ ওয়েল্লালগে।
জবাব দিতে নেমে ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় জাফনা। তাদের দুই উদ্বোধনী ব্যাটারই দলের জয় সহজ করে দেন। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ২২ বলে ৩৯ রান করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আরেক ওপেনার নিশান মাদুসাঙ্কা সমান বাউন্ডারিতে ৩২ বলে করেন ৪৬ রান। হৃদয় যখন উইকেটে আসেন, তখন ৪ উইকেট হারিয়ে দলের রান ১২৮ রান।
নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পাথিরানাকে দুটি বাউন্ডারি মারেন হৃদয়। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারিটিও আসে তার ব্যাট থেকে। এ ম্যাচ খেলেই হৃদয়ের এলপিএল মিশন শেষ হচ্ছে। বিসিবি থেকে নেওয়া এনওসির মেয়াদ শেষ হয়েছে তার, যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ৬ ইনিংসে ৩৮.৭৫ গড়ে ১৫৫ রান করে এখন এলপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হৃদয়।