লিওনেল মেসি আগেই ছুঁয়েছেন ক্লাব ফুটবলের চূড়া। বার্সেলোনার হয়ে ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ১০টি লা লিগাসহ জিতেছেন মোট ৩৫টি শিরোপা। ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ৭টি। এরপর আর বাকি কী থাকে! বাকি ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলের চূড়ায় ওঠা। সেটাও মেসি ছুঁয়েছেন ২০২২ সালে, আর্জেন্টিনার হয়ে কাতার বিশ্বকাপ জিতে।
তাই তো আর্জেন্টিনা কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেকেই বলতে শুরু করেন, এবার হয়তো মেসি থামবেন, ‘বিদায়’ বলে দেবেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। কিন্তু মেসি থামেননি, আর্জেন্টিনার হয়ে এখনো খেলে চলেছেন।
বিশ্বকাপের পর মেসি ইউরোপের ফুটবলকে ‘বিদায়’ বলে দিয়ে নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। তখন আবার অনেকই বলাবলি করতে থাকেন, ফুটবলে মেসির আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এ কারণেই ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল ছেড়েছেন।
মেসি নিজেও অবশ্য বিশ্বকাপের পর অনেকবারই বলেছেন, ফুটবলে তাঁর আর চাওয়া-পাওয়ার তেমন কিছু নেই। কিন্তু এটা যে শুধুই মেসির মুখের কথা, সেটা বোঝা যায় তিনি যখন ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামেন। নিজেকে এখনো উজাড় করে দিয়ে খেলেন ৩৬ বছর বয়সী মেসি।
মায়ামির হয়ে এখন পর্যন্ত ৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ৭টিই লিগস কাপে। আজ ন্যাশভিলের বিপক্ষে ফাইনালের একটি গোলসহ করেছেন মোট ১০টি গোল। প্রতিটি গোলের পরই মেসির উদ্যাপন দেখে মনে হয়েছে এখনো তিনি ফুটবল দারুণ উপভোগ করছেন।
ন্যাশভিলকে টাইব্রেকারে ১০-৯ গোলে হারিয়ে ইন্টার মায়ামিকে প্রথম শিরোপা এনে দেওয়ার পর তো আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর যেমন আবেগ নিয়ে শিরোপা উদ্যাপন করেছেন, মায়ামির হয়ে শিরোপা জয়ের পরও অনেকটা তেমনই দেখা গেছে।
শিরোপা জয়ের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঠে উদ্যাপন করেছেন মেসি। সতীর্থদের সঙ্গে নেচেগেয়েও উদ্যাপন করেছেন। সতীর্থরাও মেসিকে শূন্যে তুলে শিরোপা জয় উদ্যাপন করেছে। মায়ামির এ শিরোপা জয়ে তো তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার সঙ্গে সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফিও জিতেছেন মেসি।
উদ্যাপন শেষে মেসি জানিয়েছেন নিজের প্রতিক্রিয়া। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে বলতে চেয়েছেন, তাঁর চাওয়া-পাওয়ার শেষ এখানেই নয়! মেসি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস!!! ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জিতে খুব খুশি। সবার কঠিন পরিশ্রম আর নিবেদনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, মাত্র তো শুরু…চলো এগিয়ে যাই।’