আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ওপেনার মেহেদী মিরাজই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি গড়া নাজমুল শান্তও সেঞ্চুরি পেয়েছেন। বাংলাদেশ পেয়েছে ৫ উইকেটে ওয়ানডেতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৪ রানের সংগ্রহ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। তাই এশিয়া কাপে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। এমন সমীকরণের ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে আফগানদের বিপক্ষে রেকর্ড সংগ্রহ পেয়েছে সাকিব বাহিনী।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে রশিদ খানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩০৬ রান, যা গতবছর চট্টগ্রামে করেছিল টাইগাররা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মিরাজ ১১২ রান করে রিটায়ার হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। আর শান্ত করেন ১০৪ রান।
দলের হয়ে ১১৯ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১১২ রান করে হাতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন ওপেনার মিরাজ। ১০৫ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ রান করে রান আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
রোববার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে গ্রুপর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে টাইগাররা। সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ বাংলাদেশকে জিততেই হবে।
এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের সঙ্গে ৬০ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৮ আর ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন নাইম শেখ ও তাওহিদ হৃদয়।
তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন মিরাজ-শান্ত। এই জুটিতে তারা ১৯০ বলে ১৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
দলীয় ২৫৭ রানে মিরাজ সেঞ্চুরির পর হাতে চোট পেয়ে সাজঘরে ফেরেন। সেঞ্চুরি করার পর দলীয় ২৭৮ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন শান্ত। শেষ দিকে সাকিব আল হাসানের ১৮ বলের ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৫০ ওভারে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে এটা বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২৬ রান করেছিল বাংলাদেশ দল।