স্পিনারদের কিপটে বোলিং আর পেসারদের উইকেট শিকারের মহড়ায় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ খুব বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। কলম্বোয় এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে স্বাগতিকদের ২৫৭ রানে আটকে রেখেছে সাকিব আল হাসানের দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে আড়াইশ পেরোনো সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা।
সামরাবিক্রমা খেলেছেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। মাত্র ৭২ বলে ৯৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার, দুটি ছয়ের মার। আগের ১৯ ওয়ানডেতে উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৮২।
কুশল মেন্ডিস ৫০ ও পাথুম নিশাঙ্কা করেন ৪০ রান। হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। তিন পেসারই গড়ে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ছয়ের ওপর।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের উইকেটে পেসাররা পেয়েছেন বাড়তি মুভমেন্ট। একটু খরুচে হলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট বের করতে পেরেছেন হাসান-শরিফুল-তাসকিনরা। অন্যদিকে সাকিব-নাসুম-মিরাজ উইকেটহীন ছিলেন। রান দেয়ায় সবচেয়ে কিপটে ছিলেন নাসুম আহমেদ। এ বাঁহাতি স্পিনার ১০ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩১ রান। সাকিব ১০ ওভারে ৪৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ ওভারে দিয়েছেন ১৪ রান।
ছয় বোলার নিয়ে খেলার সুবিধা ভালোভাবেই আদায় করে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিকল্প থাকায় শুরুর ৫ ওভারের মধ্যে বোলিং পরিবর্তন করেন। হাসানকে এনে সাফল্যও পান। প্রথম ব্রেক থ্রু এনে ডানহাতি পেসারই। পরে শরিফুল ইসলাম জোড়া শিকার করে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে। পরে জ্বলে ওঠেন তাসকিনও। স্লগ ওভারে উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ আরও বড় হতে দেননি।