এক দিন আগে মারা গেছেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী প্রিয়া রহমান। নিজের শরীরটাও ভালো যাচ্ছিল না তার। গত মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে দাফন করে বুধবার সকালেই তিনি ফিরে আসেন। জীবনসঙ্গী প্রিয়া রহমানের শোকে কাতর ছিলেন সোহান, শরীরটাও ভালো যাচ্ছিল না। গত বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরার বাসায় ঘুমের মধ্যে মারা যান ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার এই পরিচালক। মেয়েরা টাঙ্গাইলেই ছিলেন। কিন্তু বুধবার হঠাৎ বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে আবার ঢাকার দিকে রওনা করেন তারা। বুধবার রাতেই বাবার মরদেহ নিয়ে যাত্রা করেন নানাবাড়ির উদ্দেশে।
২৪ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে পরিচালক সোহানকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একই কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
বগুড়ায় জন্ম নেওয়া সোহানের শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইলে। স্ত্রীর কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করার ইচ্ছা পোষণ করে গেছেন সোহান। বুধবার মধ্যরাতে সোহানের মরদেহ টাঙ্গাইলের রেজিস্ট্রিপাড়ার শ্বশুরবাড়িতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড মসজিদে জানাজা শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাকে।
এর আগে উত্তরার বাসায় তার প্রথম জানাজা হয়েছে। সোহানের মৃত্যুর খবরে চিত্রনায়ক শাকিব খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, নিপুণসহ ঢাকাই সিনেমার পরিচালক ও শিল্পীরা তাকে শেষবারের মতো দেখতে যান। এ সময় শিল্পীরা বলেন, সোহান ভাই শুধু ভালো নির্মাতা ছিলেন তা নয়, ভালো মানুষও ছিলেন। তাঁর মতো অমায়িক মানুষ চলচ্চিত্রাঙ্গনে কম। তার তিনটি মেয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে মা–বাবা দুজনকেই হারিয়েছেন। এ শোক কীভাবে সইবেন তারা!
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিপুণ বলেন, ‘সোহান ভাইয়ের স্ত্রী গতকাল মারা যান। স্ত্রী বিয়োগের শোক তিনি নিতে পারেননি। তিনিও চলে গেলেন। বিশ্বাস করেন, সোহান ভাইয়ের এভাবে চলে যাওয়া আমারও বিশ্বাস হচ্ছিল না। তাই খবরটি শুনেই দ্রুত উত্তরায় ছুটে আসি। জানি না, ওনার মেয়ে তিনটি এই শোক কীভাবে সইবে।’
চিত্রনায়িকা জেসমিন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মা-বাবা দুজনকেই হারিয়ে বাকরুদ্ধ সোহান ভাইয়ের তিন মেয়ে। ওদের কান্না থামছে না। সবাই দোয়া করবেন, আমাদের প্রিয় সোহান ভাইয়ের তিন মেয়েকে শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি যেন দেন আল্লাহ। আসলে আমরাও বুঝতে পারছি না, কী বলে ওদের সান্ত্বনা দেব।’
স্ত্রীর মৃত্যুর পর পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানও মারা গেছেন