‘ঘুড্ডি’ নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর মরদেহ আগামীকাল বৃহস্পতিবার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হবে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীকে ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে জোহরের নামাজের পর দেড়টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হবে চ্যানেল আইতে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীকে দাফন করা হবে।
দেশীয় চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য সিনেমা ‘ঘুড্ডি’। ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি নানা কারণেই এটি ছিল আলোয়চনায়। অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফার প্রথম চলচ্চিত্র এটিই। প্রথম সংগীত পরিচালনা করেছিলেন লাকি আখান্দ। তার ভাই হ্যাপি আখন্দের প্রথম প্ল্যোকও এ সিনেমায়।
স্ক্রিপ্ট ছাড়াই এটি বানিয়েছেন সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী। ক্যারিয়ারে প্রথম ছবিতেই বাজিমাত! দর্শকের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমালোচকদেরও মন জয় করেন তিনি। সেই গুনী নিমার্তা গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সালাহউদ্দীন জাকী।
১৯৪৬ সালের ২৬ আগষ্ট টাঙ্গাইলের করটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাকী । নির্মাতা পরিচয়ের বাইরেও কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও লেখক হিসেবে পরিচিত। এই সিনেমায় কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা ও হ্যাপি আখান্দের গাওয়া ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’ এখনও শ্রোতাদের মুখে ফেরে। এই সিনেমার জন্য জাকী শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর তিনি ‘লাল বেনারসি’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। নব্বই দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি ‘অপরাজেয় একা’ ও ‘ক্রান্তিকাল’ নামে দুটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন।