আহমেদাবাদের মাঠে এভাবেই পিচ দেখছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ছবি: পিটিআই
পিচ দিয়েই কি এবারের বিশ্বকাপ কামাল করল ভারত। বিশ্বকাপের ফাইনালে রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া।
মুম্বাইয়ে ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচের আগে ওয়াংখেড়ের পিচ নিয়ে অনেক বিতর্কই হয়েছে। আহমেদাবাদেও সে পিচ বিতর্ক আলোচনায়। মুম্বাইয়ে তরতাজা পিচের বদলে ইচ্ছাকৃতভাবে পুরনো পিচে খেলানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার ফাইনালের আগে আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক। ভারত মিডিয়া বলছে, প্রশ্ন তুলে স্টার্ক নতুন করে পিচ বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ সালের পর আবার ফাইনালে মুখোমুখি দুই দেশ। তার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষে পিচ বিতর্কে কথা বলেছেন স্টার্ক।
স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যাচের পর। স্টার্কের উত্তর, আমরা এখনও জানি না পিচ কেমন হতে চলেছে। আহমেদাবাদ যাওয়ার পর বুঝতে পারব তরতাজা উইকেটে খেলা হবে নাকি পুরনো উইকেটেই।
ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচের আগে ‘ডেইলি মেল’ সংবাদপত্রে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেই অনুযায়ী, ভারতে বিশ্বকাপের জন্য পিচ তৈরি করার দায়িত্ব অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের উপর। তাঁর নেতৃত্বে আইসিসি ও বিসিসিআই-এর কয়েক জন পিচ প্রস্তুতকারক সব ম্যাচের উইকেট তৈরি করেন। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচের জন্য একটি অব্যবহৃত পিচ বেছে নিয়েছিলেন অ্যান্ডি। সেই পিচ বদলে একটি ব্যবহৃত পিচে খেলা হবে বলে জানানো হয় রিপোর্টে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, প্রথমে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৬ নম্বর পিচে খেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা বদলে ৭ নম্বর পিচ করা হয়েছে। এই পিচে এর আগে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হয়েছে। যে পিচে আগে খেলা হওয়ার কথা ছিল সেখানে ঘাস ছিল। কিন্তু যে পিচে খেলা হওয়ার কথা সেটি খুব মন্থর। মূলত ভারতীয় বোলারদের সুবিধা করে দিতেই নতুন পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পিচ বদলের কথা হোয়াটস্অ্যাপ করে জানানো হয়ে অ্যন্ডিকে। সেখানে বলা হয়, বিশেষ একটি কারণে ৬ নম্বর পিচের জায়গায় ৭ নম্বর পিচে খেলা হবে। কী কারণ, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার হ্যাজলউড বলেন, ‘একটা দেশে অনেক মাঠ থাকা দারুণ ব্যাপার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম— উইকেট, আবহাওয়ার পার্থক্য থাকে। সব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। বোলারদের মানিয়ে নিতে হয়। ব্যাটারদের মানিয়ে নিতে হয়। তবে আহমেদাবাদের উইকেট বেশ ভাল। পাটা উইকেট। মনে হয়, আমরা একই রকম উইকেট পাব।’
ভারতের তরুণ ওপেনিং ব্যাটার শুভমান গিল আহমেদাবাদে গিয়ে এমন ভান করেছেন, যেন তিনি কিছু জানেনই না। তিনি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কোথায় বিতর্ক? এই মাত্র আপনার মুখে শুনলাম সেমিফাইনালের পিচ নিয়ে নাকি বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কী বিতর্ক হয়েছিল?’ কিছুটা বিস্ময় নিয়েই উত্তর দিয়েছেন শুভমান। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় দল এ সব কিছুই জানে না।