গৌরবময় মহান বিজয় দিবস আজ, জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

আজ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন।বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের অবিস্মরণীয় গৌরবময় মহান বিজয় দিবস আজ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তির দিন আজ।

বিজয় উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে ভোর থেকেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নামে মানুষের ঢল। হাজারো মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন দেশ মাতৃকার টানে জীবন উৎসর্গকারীদের।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা সৌধ এলাকা ত্যাগ করার পরপরই জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

সকাল থেকেই অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে আশপাশে অপেক্ষা করছিলেন। স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর সারিবদ্ধভাবে তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। জনসমাগম রুপ নেয় জনসমুদ্রে। নারী-পুরুষনির্বিশেষে সব বয়সী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বেদিতে ফুল দিয়েছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন শ্রেণির অনেককে দেখা গেল, স্মৃতিস্তম্ভ পেছনে রেখে একা, যুগল, দলবেঁধে মুঠোফোনে সেলফি তুলছেন।

শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজনীতিক, কূটনীতিক, সমাজকর্মী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী শিল্পী-বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সর্বোপরি সাধারণ মানুষ।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts