কুয়েতের নতুন আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অভিনন্দন জানিয়ে লিখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে আমির হিসেবে আপনার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেশের সর্বোচ্চ পদে আপনার যোগদান কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের দ্বারা আপনার বিচক্ষণতা এবং গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি আস্থার প্রমাণ।’
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে ১৯৭৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনার পর থেকে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব দ্বারা চিহ্নিত, যা বহু বছর ধরে মানুষের কর্মসংস্থানসহ অনেক ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে। সম্পদ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা এবং জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশ পাশাপাশি আছে।
আগামী দিনেও সহযোগিতার এই সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে এমন আশাবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি যখন নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, আমি আপনাকে ও কুয়েতের জনগণকে আগামী দিনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
গত ১৬ ডিসেম্বর শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন আমির হিসেবে দায়িত্ব পান ক্রাউন প্রিন্স ৮৩ বছর বয়সী শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ।
শেখ মেশাল ১৯৬০ সালে যুক্তরাজ্যের হেন্ডন পুলিশ কলেজে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন এবং এরপর তিনি কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গোয়েন্দা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে শেখ মেশাল একজন মন্ত্রীর পদমর্যাদায় কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের (কেএনজি) উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। কেএনজির উপপ্রধান কুয়েতের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বিষয়ক পদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পদ।
প্রতিরক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পালনকালে শেখ মেশাল সংস্থাটির বেশ কিছু সংস্কার করেন এবং সেই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোর অভিযান পরিচালনা করেন। ২০২০ সালে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর কেএনজির উপপ্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।