মেহেদী হাসান শিয়াম : ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক। দই বিক্রির টাকায় সমাজসেবা করেন তিনি। এবার একুশে পদকে মিলল তার স্বীকৃতি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক ২০২৪ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদের একজন এই দই বিক্রেতা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরিন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকার ১৫ নম্বরে রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিয়াউল হক (৯১)। সমাজসেবায় অবদান রাখায় এই পদক পাচ্ছেন তিনি ।
তিনি জানান, গত বছরের আগস্ট মাসের একুশে পদকের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে যোগাযোগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যান।
তৎকালীন ইউএনও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেন। এরপর ২০২৪ সালের ২১শে পদকের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়।
জিয়াউল হক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব ফোন করে প্রথমে মনোনীত হওয়ার বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ৬৫ বছর ধরে মাথায় করে দই বিক্রি করছি। দই বিক্রির টাকায় ১৯৬৯ সালে ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকে আমার সমাজসেবা শুরু।
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদান, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দিয়ে আসছি।’
জিয়াউল হক বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন মানুষের সেবা করতে চাই।